পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २१ > ] লক্ষনী শান্তা ও স্থিরস্থখ হইলেও, সকলেই তাহকে লোল বলিয়াই জানে। তথাপি ভোগাসক্ত জনগণ কেবল সম্পদেরই আদর করিয়া থাকে। ৬৬। একদা কুমার উদ্যানবিহার-মানসে সুন্দর ও বৃহদাকার তুরঙ্গসমন্বিত রথে আরোহণ করিয়া নগরের বাহিরে গিয়াছিলেন ৬৭ ৷ কুমার পথিমধ্যে জরাজীর্ণ, শীর্ণকেশ এবং শুষ্ক ও কঠোরাকৃতি একটা পুরুষকে দেখিয়ছিলেন । ৬৮ । কুমার ঐ পুরুষকে দেগিয়া এবং নিজদেহ বিলোকন করিয়া বস্তৃক্ষণ চিন্তা করিয়ছিলেন যে, অহে এই দেহের এইরূপ নিন্দনীয় পরিণাম । ৬৯ ৷ এই ব্যক্তি পৰ্য্যাপ্ত বয়স পাইয়াও পৰ্য্যাপ্ত বোধ করিতেছে না । এ জন্য জর পলিতচ্ছলে এই রুদ্ধকে উপহাস করিতেছে । ৭০ ৷ এই বৃদ্ধ সন্তত সারপাশদ্বারা বদ্ধ ও অস্থিপঞ্জরবিশিষ্ট দেহপিঞ্জরে মোহবিহঙ্গকে পোষণ করিতেছে । তামার বড়ই তাশ্চৰ্য্য বোধ হইতে ছে | ৭ । হে সারথে ! এ ব্যক্তি কি করিতেছে । কেন তপোবনে সাষ্টতেছে না । এই রূদ্ধের বুদ্ধিও দেহেব সহিত সঙ্কোচ প্রাপ্ত হইতেছে । ৭২ ৷ এই বৃদ্ধ যঃি অবলম্বন করিতেছে ; কিন্তু ধৰ্ম্মময়ী বুদ্ধি অবলম্বন করিতেছে না । জরাদ্বারা ইহার দেহ বক্র হইয়াছে । এ অতি নির্বিবেক স্বভাব । ৭৩ ৷ এই বৃদ্ধ দস্তচু্যত হওয়ায় প্রশ্বলিতভাবে লালাল মিশ্রিত বাক্য দ্বারা জুগুপ্ৰসা-ভাব প্রকাশ করিতেছে । ৭৪ ৷ দৃষ্টি নষ্ট হইয়াছে। শরীর কুশ হইয়াছে। শক্তি লুপ্ত হইয়াছে। শ্রবণশক্তিও গিয়াছে, তথাপি তরুণী বুদ্ধের প্রিয় দেখিতে পাওয়া যায়।।৭৫