পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २७ } অনস্তর তদীয় প্রিয়া মলয়বতী সুসজ্জিত, পুষ্প ও অংশুকে সুশোভিত সমুচিত চিতায় প্রবেশ করিবার জন্য অগ্নির সম্মুখে আসিয়া বলিলেন । ১৮০ ৷ আমি ভগবতী শঙ্করীকে ভক্তিসহকারে তুষ্ট করিয়াছি। শঙ্করীও আমাকে বর দিয়াছেন যে আমি সৰ্ব্ববিদ্যাসম্পন্ন চক্রবর্তী পতি লাভ করিব । তবে আমার পক্ষে সূতীবাক্য কেন মিথা হইল যে আমি সপ্তরাত্রি মধ্যেই বিধবা হইলাম । যাহা হউক জন্মান্তরে ও যেন ইনিই আমার পতি হন । মলয়বর্তী এই কথা বলিয়া অগ্নিতে মন্দার পুষ্পের অঞ্জলি প্রদান করিলেন । ১৮১, ১৮২, ১৮৩। ইত্যবসরে গিরিজ শঙ্করী স্বয়ং অমৃতকলসী হস্তে ধারণ করত: তথায় আগমন করিলেন ও নিজ কিরণচ্ছটায় দিয়ুখ উদ্ভাসিত করির বলিলেন । পুত্র এই তোমার পতি জীবিতই আছে । এই কথা বলিয়া মৃধাসারদ্বারা জীমূতবাহনকে পুনর্জীবিত করিলেন । ১৮৪, ১৮৫ ৷ তৎপরে পাৰ্ব্বত অস্তৰ্হিত ইষ্টলে জীমূতবাহন মুস্ত হইয়া গরুড়ের নিকট বিনষ্ট নাগগণের পুনর্জীবন প্রার্থনা করিলেন । ১৮৬ | তাহার প্রার্থনা গরুড় কর্তৃক স্বঃ অমৃত বৃষ্টির দ্বার সমুদয় বিনষ্ট নাগগণ পুনজীবিত হইল ও ফণামণি কিরণে দিজুগুল আলোকিত করিল। ১৮৭ ৷ সিদ্ধকন্ত মলয়ব ঠী এই সকল বৃত্তান্ত অবলোকন করিয়া যুগপৎ প্রহর্ষ, অদ্ভুত ও মন্মথ রসে আপ্নত হইলেন ও সঞ্চারিণী কল্পলতার ন্যায় পতির সমীপে আসিলেন । ১৮৭ | অতঃপর পক্ষবান সুমেরু সদৃশ গরুড় কুমারকে প্রণাম করিয়া গমন করিলে পর জীমূতবাহনের সম্মুখবর্তী নাগকুমার শঙ্খচূড়ের দৃষ্টি তদর্শনে পরিতৃপ্তি লাভ করিল না । ১৮৯ ॥ তৎপরে বোধিসত্ত্বের মস্তকোপরি সুরপতিকাস্তার পাণিপদ্ম হইতে বিকচকুসুম বৃষ্টি পতিত হইল । বোধ হইল যেন নিৰ্ম্মল রত্ন বৃষ্টি হইতেছে ও পতন শব্দে যেন তদীয় গুণগান করতঃ প্রণামস্তুতি করিতেছে । ১৯০ | সত্ত্বগুণসাগর জীমূতবাহন নিজ চুড়ামণি দ্বারা জনক ও জননীর পাদপদ্ম স্পর্শ করিয়া প্রণাম করিলেন । র্তাহাদের পরস্পর অশ্রুবর্ষণে প্রেমাভিষেকোৎসব সম্পাদিত হইয়াছিল। জীমূতবাহন ক্ষণকাল পরেই স্বীয় পুণ্য প্রভাবে প্রচুর রত্ন ও চক্রবৰ্ত্তি চিহ্ন লাভ করিলেন । ১৯১ ॥