পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २२ } অহে, সংসার স্বষ্টির মধ্যে কতশত নূতন নূতন উৎকর্ষ দেখিতে পাওয়া যায় ; আশ্চৰ্য্য স্থষ্টিকাৰ্য্যের ইয়ত্ত করা যায় না । ১৮ । সুধাসাগরের মন্থন না করিয়া ও বাস্থকিকে কোন ক্লেশ না দিয়া এবং শৈলরাজ মন্দরকে আকর্ষণ না করিয়াই কে এই গজরত্নট উৎপাদন করিল। ১৯ । অনন্তর ভূপতি আজ্ঞাকারী সংযাতনামক মহামাত্রকে আদেশ করিলেন যে এই হস্তীটকে তুমি শিক্ষিত কর। ২০ । মহীপাল এই কথা আদেশ করিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলে পর মহামাত্র সংঘাত সর্বববিধ শিক্ষার যোগ্য নাগরাজকে গ্রহণ করিলেন । ২১ । প্রাজ্ঞ নাগরাজ পূৰ্ব্বজন্মের সংস্কারসম্পন্ন সৎশিষ্যের ন্যায় সংঘাত কর্তৃক প্রযত্ন সহকারে সর্বপ্রকারে শিক্ষিত হইয়াছিল। ২২। হস্তীটী বহুতর মদম্রাব হইলেও উদ্বেগজনক হয় নাই ; শক্তিমান ও উৎসাহসম্পন্ন হইলেও ক্ষমাশীল ছিল এবং শত্রুবিনাশকার্য্যে ত্বরিতগতি ছিল। একারণ সেও রাজার তুল্যই ছিল, অর্থাৎ রাজগুণ সাদৃশ্ব উহাতে ছিল। ২৩ ৷ - অনন্তর মহামাত্র সংযত তাহার আদিষ্ট কার্য্য সম্পাদন করিয়া মহারাজকে নিবেদন করিলেন যে গজরাজ শিক্ষণপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছে। ২৪ । রাজা অতিশয় উৎসাহসম্পন্ন, নির্বিকার এবং বলশালী গজ‘রাজকে অস্কুশের আয়ত্ত দেখিয়া জয়লক্ষনীকে করায়ত্ত বোধ করিলেন । ২৫ । অনন্তর হর্মান্বিত হইয়া গজরাজের কিরূপ দক্ষত হইয়াছে তাহা দেখিতে ইচছা করিয়া উৎসাহ সহকারে গজোপরি আরোহণ করিলেন । তখন বোধ হইল যেন সূর্যদেব উদয়াচলে আরোহণ করিলেন। ২৬।