পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

←abr শিষ্য নিতান্ত অলভ্য বস্তুর প্রার্থনা করিতে গিয়া দৈন্ত্য ও চিন্তায় ক্লিষ্টমনা হইয়া মুখমণ্ডল নত করিয়া মুক্তিকার দিকে দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া রহিলেন । ৪১ ৷ মহীপতি শ্ৰীসেন ঐ মুনিশিষ্যকে অর্থিরূপে সমাগত দেখিয়৷ চন্দ্রোদয় কালে সমুদ্রের ন্যায় অত্যন্ত প্রহৃষ্ট হইলেন । ৪২ ৷ মহারাজ তাহাকে পূজা বরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনি কি চাহেন ? মুনি-শিষ্য নিতান্ত অনুচিত প্রার্থনা বশতঃ লজ্জায় গদগদ স্বরে বলিলেন । ৪৩ ৷ মহারাজ, আমি পূর্বে কখনও কাহারও নিকট প্রার্থনা করি নাই। সম্প্রতি গুরুদক্ষিণার জন্য আমি আর্থিব স্লতরু আপনার নিকট অত্যন্ত দুর্লভ বস্তু প্রার্থনা করিতে আসিয়াছি । ৪৪ ৷ রাজন, আমার বিদ্যাব্রত পূর্ণ হইয়াছে। গুরুদেব ভবদীয় মহিষী জয়প্রভাকে দক্ষিণরূপে তভিমত করিয়াছেন । এক্ষণে তাপনি যদি পারেন ত দান করুন । ৪৫ ৷ মুনিশিষ্য এই কথা বলিলে সহসা মহীপতির মন স্নেহ ও দানরসে আবিদ্ধ হইয়া দ্বিধাভূত হইয়াছিল ৷ ৪৬। অনন্তর মহারাজ অগ্রবিস্তারী দন্তজ্যোতিরূপ স্বচ্ছ বস্ত্র দ্বারা দ্বিজকে আচ্ছাদন করিয়া বলি লেন, এই আমার দয়িতাকে গ্রহণ করুন । ৪৭ ৷ আপনার গুরুর অভিলষিত বস্তু আমি কোনরূপ বিচার না করিয়াই দান করিলাম। আমার মন নিয়োগে ভীত হইয়াছিল, কিন্তু সত্য বলিতেছি, আমি তাহ গ্রাহ করিলাম না । ৪৮ । মহারাজ এই কথা বলিয়া গুরুতর বিয়োগছুঃখাগ্নি কর্তৃক নিবারিত হইলেও এবং কামসহকৃত বহুকালপ্রবৃদ্ধ স্নেহকর্তৃক নিষিদ্ধ হইলেও প্রাণপ্রতিমা প্রাণপ্রিয় রাজীবলোচনা এবং এ কি হইল এই বলিয়া