পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 48 সৰ্ব্বকামপ্রদ অবারিতদ্বার সেই যজ্ঞস্থলে ভাগবপ্রমুখ মুনিগণ ও দুষ্প্রসহ প্রভৃতি নৃপতিগণ আগমন করিয়াছিলেন । ৫৭। অসংখ্যধনবৰ্ষী সেই যজ্ঞ সমারব্ধ হইলে দেবরাজ ইন্দ্র রাক্ষসরূপ পরিগ্রহ করিয়া অগ্নিমধ্য হইতে সমুথিত হইয়াছিলেন। ৫৮ ৷ ” কৃশ ও বিকৃতবিগ্রহ রক্ষোরূপী ইন্দ্র রাজসন্নিধানে উপস্থিত হইয় ক্ষুধা ও পিপাসায় পীড়িত ভাব জ্ঞাপন করতঃ পান ও ভোজন প্রার্থন করিয়াছিলেন । ৫৯ ৷ অনন্তর রাজার আজ্ঞানুসারে পরিচিত পরিজনগণ তাহাকে বিবিধ ভোজন দ্রব্য ও পানীয় আহরণ করিয়া দিল । ৬০ ৷ তৎপরে রাক্ষস কিঞ্চিৎ হাস্য করিয়া রাজাকে বলিল, রাজন, এসকল আমাদের প্রিয় নহে । আমরা মাংসাশী । ৬১ ৷ সদ্যোহত প্রাণীর মাংস ও প্রচুর রুধির পাইলেই আমাদের তৃপ্তি হয় ; অতএব ঐরূপ বস্তু যদি আপনার অভিপ্রেত হয় ত দিউন। ৬২ ৷ আপনি সকলের সকল কামনা পূর্ণ করেন শুনিয়া আমি আপনার নিকট আসিয়াছি। আপনিও দিবেন বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছেন । এক্ষণে না বলা আপনার উচিত নহে । ৬৩। করুণাপরায়ণ রাজা রাক্ষসের এবম্বিধ বাক্য শ্রবণ করিয়া এবং অহিংসা নিয়ম বশতঃ অর্থীর বৈমুখ্য হয় বিবেচনা করিয়া বড়ই দুঃখিত হইলেন । ৬৪ । তখন রাজা চিন্তা করিলেন যে দৈবাধীন এই ধৰ্ম্মসংশয় উপস্থিত হইয়াছে। পরস্তু আমি দুঃসহ হিংসা সহ করিতে পারিব না ; অথচ অধি-বৈমুখ্যও বড়ই দুঃসহ। ৬৫ ৷ হিংসা ব্যতিরেকে কোন প্রকারেই শরীর হইতে মাংস পাওয়া যায় না ; কিন্তু আমি একটী পিপীলিকার পর্য্যস্ত কায়ক্লেশ সহ্য করিতে পারি না । ৬৬ ৷