পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s & 4 আমি সৰ্ব্বপ্রাণীকেই পবিত্র অভয় দক্ষিণ দিয়া কি প্রকারে এখন প্রাণী বধ করিয়া মাংস প্রদান করি । ৬৭ ৷ করুণাকুল রাজা এইরূপ চিন্তা করিয়া রাক্ষসকে বলিলেন, আচ্ছা আমি নিজ শরীর হইতে মাংস ছেদন করিয়া রুধির ও মাংস তোমায় أبراري أي تقfTr রাজা এই কথা বলিলে পর জগৎ শুদ্ধ লোক ব্যাকুল হইয়া পড়িল এবং মন্ত্রিগণ কোন প্রকারেই তাহার দেহনাশের উদ্যমে অনুমোদন করিলেন না । ৬৯ ৷ মহারাজ সমাগত নৃপতিগণ ও মুনিগণ কর্তৃক অতি আগ্রহসহকারে নিবারিত হইয়াও নিজ দেহ কৰ্ত্তন করিয়া তাহাকে মাংস রুধির ও বসা প্রদান করিলেন। ৭০ ৷ যখন ঐ রাক্ষস মহারাজের রক্ত আকণ্ঠ পান করিয়া মাংস ভক্ষণ করিতেছিল, তখন পৃথিবী ক্ষণকাল কম্পিত হইয়াছিলেন । ৭১। তৎপরে মহিষী পদ্মাবতী স্বামীর ঈদৃশ অবস্থা অবলোকন করিয়া বিলাপ করতঃ মোহপ্রাপ্ত হইয়া ভূপতিত হইলেন। ৭২। রাক্ষসরূপী দেবরাজ মহারাজের এবস্তలై বিপুল সত্ত্ব দেখিয়া রাক্ষসরূপ পরিত্যাগ পূর্বক কৃতাঞ্জলি হইয় রাজাকে বলিয়াছিলেন । ৭৩। মহারাজ, আপনার এই আশ্চৰ্য্য ও দুষ্কর কৰ্ম্ম দেখিয় কোন ব্যক্তির দেহ রোমাঞ্চিত না হয় । ৭৪ ৷ মহারাজ, আপনাতে রজোগুণের লেশমাত্রও নাই । আপনার “পুণ্য আশ্চৰ্য্য ও অসামান্য । আপনার সত্ত্বগুণের উপমা নাই এবং ধৈৰ্য্যেরও সীমা নাই। ৭৫ ৷ পুণ্যময় সজ্জনগণ এইরূপই পরদুঃখে দুঃখিত হয় ও দুল্লভ বস্তুতেও র্তাহীদের লোভ হয় না এবং শক্রর প্রতিও তাহারা ক্ষমাবান হন । ৭৬। মহাত্মগণের কি এক অপূর্ব সত্ত্বোৎসাহ দেখা যায়, যাহা