পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २ ) মহাকবি ক্ষেমেন্দ্র যেমন বোধিসত্ত্বাবদানকল্পলতা গ্রন্থ বৌদ্ধধৰ্ম্মের সারসংগ্ৰহরূপে রচনা করিয়াছেন, তদ্রুপ চারুচর্য্যাশতক গ্রন্থও সনাতন আর্য্যধৰ্ম্মের সার উপদেশসংগ্ৰহম্বরূপ রচনা করিয়াছেন। ইহা দ্বারা জানা যাইতেছে যে, ক্ষেমেন্দ্র সনাতন আর্য্যধৰ্ম্মাবলম্বীই ছিলেন এবং বৌদ্ধ অমুশাসনকেও তিনি আর্য্যপৰ্ম্মেরই অন্তর্গত বিবেচনা করিত্নে । অবদানকল্পলতা গ্রন্থ ভারতীয় কলি-রচিত হ চলে ও, কালক্রমে ভারতে ইহার বিলোপ ঘটিয়াছিল । বহু সন্ধান করিয়া ও ইহার সম্পূর্ণাংশ পাওয়া যায় নাই ! এসিয়াটিক সোসাইট নেপাল হইতে এ গ্রন্থের উত্তরাদ্ধ মাত্র সংগ্রহ করিয়াছেন । গত ১৮৮২ সালে আমি যখন তিব্বত (হিমবং ) প্রদেশের রাজধানী লাস ( দেববৎ ) নগরে যাই এবং কিছুকাল সেখানে বাস করি, সেই সময় পেী তলনামক রাজ প্রাসাদের পুস্তকাগার হইতে কতকগুলি অমূল্য গ্রন্থ সংগ্ৰহ করিয়া আনি ছিল:ম । তন্মধ্যে এই কল্পলতাগ্রন্থ অন্যতম । এই গ্রন্থ অতি উপাদেয় বিবেচনা করিয়া এসিয়াটিক সোসাইট ইহার প্রকাশে বদ্ধপরিকর হু ওয়ায় মূল গ্রন্থ প্রায় সম্পূর্ণ প্রকাশিত হইয়াছে এবং হাবশিষ্ট অংশ ও দুই-এক বৎসরের মধ্যেই সমাপ্ত হইবে আশা করি । ভগবান বুদ্ধ পূর্ব পূর্ব জন্মে কি কি রূপে জন্ম গ্রহণ করিয়া কি কি কাৰ্য্য করিয়াছিলেন এবং কিরূপে পরে সম্যক সম্বোধি লাভ করেন এই কথাই ইহাতে বিরত আছে এবং প্রসঙ্গক্রমে নানাবিধ ধৰ্ম্মমূলক উপদেশ উদাহরণসহ বর্ণিত হইয়াছে। ভগবান স্বয়ং ভিক্ষুগণের নিকট এই সকল কথা নিজমুখে ব্যক্ত করিয়াছেন। তিববত, চীন এবং শু্যাম দেশ পরিভ্রমণ করিয়া আসিবার পর, সময়ে সময়ে কোন কোন মাসিক পত্রিকায় আমি বাঙ্গালা প্রবন্ধ লিখিয়া, ছিলাম, কিন্তু এরূপ উদ্যম সত্ত্বেও এ যাবৎ বঙ্গভাষায় কোন উত্তম গ্রন্থ