[ ७२ ।। রাজ। এই কথা বলিলে পর কামদেব সহসা অন্তরিত হইলেন। বিরহাগ্নিসন্তপ্ত দেবী পদ্মাবতীও অত্যন্ত বিহবলা হইয়াছিলেন । ১৪১ ৷ কামবিজয়ী রাজ মণিচূড় পতিবিয়োগিনী অতিদুঃখিত নিজজায়াকে আশ্বাস প্রদানপূর্বক বলিয়াছিলেন। ১৪২ ৷ 麟 দেবি, তুমি ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে লিপ্ত আছ। ইহাতে কোনরূপ দুঃখ করিও না । ভোগবিলাসাদি সমুদয়ই পরিণামে বিরস ও দুঃখ @怀! >8心目 তরঙ্গসদৃশ-তরল-আয়ুঃসম্পন্ন দেহিগণের দয়িতাসঙ্গও পদ্মপত্রস্থ জলবিন্দুর ন্যায় অতি চঞ্চল। ১৪৪ ৷ g সম্পদাদি কৃষ্ণবর্ণমেঘে বিদ্যুল্ল তার ন্যায় মুহূৰ্ত্তকালমাত্র নৃত্য করিয়া লীন হয় । উহা সংসাররূপ সপের জিহবাস্বরূপ ও অতি চপল । ১৪৫ ৷ ভোগবাসনার ক্ষণকাল পরেই বিয়োগ উপস্থিত হয়। বিভবসম্পত্তি স্বপ্নসময়ে বিবাহসদৃশ। সুখশ্ৰী বাতাহত দীপশিখার ন্যায় চঞ্চল। যাহা কিছু সংসারের ব্যবহার দেখিতেছ, তৎসমুদয়ই ভূতের নৃত্য জানিবে । ১৪৬ ৷ করুণাই সকলের আশ্রয়ণীয় ; লক্ষনী নহে। ধৰ্ম্মই আলোক প্রদ ; দীপ নহে। যশই রমণীয় ; যৌবন নহে। তদ্রুপ পুণ্যই চিরস্থায়ী। জীবন চিরস্থায়ী নহে ৷ ১৪৭ ৷ সত্যব্রত রাজা এইরূপে নিজপত্নীকে সাস্তুনা করিয়া মহর্ষির আশ্রমে পাঠাইয়া দিলেন ও নিজে সন্তোষ ও পুণ্যময় সংসারপরায়ুখ মুনিগণের তপোবনে বিচরণ করিতে লাগিলেন । ১৪৮ । i: ইত্যবসরে রাজী দুষ্প্রসহকর্তৃক প্রেরিত পাঁচটী ব্রাহ্মণ তথায় উপস্থিত হইয় অর্থিগণের একমাত্র বন্ধু বিশুদ্ধসত্ত্ব মহারাজ মণিচূড়কে বনান্তে দেখিতে পাইলন । ১৪৯ । র্তাহারা ভয়প্রযুক্ত অধীব হইয়া মন্দস্বরে স্বস্তিবাক্য উচ্চারণ
