পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭ } পৃথিবী পালনের জন্য প্রাথিত হইয়াও রাজা মণিচূড় আর ভোগাভিলাষী হইলেন না । ১৮৪ । প্রাপ্তসংজ্ঞা পদ্মাবতী দেবী মুনিকর্তৃক প্রযুক্ত হইয়া রাজপুত্রের সহিত নিজের বিরহবেদনার শান্তির নিমিত্ত প্ৰজাগণের সুখকর রাজার সিংহাসনারোহণ প্রার্থনা করিয়াছিলেন । ১৮৫ । তৎপরে কৃপাপরায়ণ পূর্বোত্ত প্রত্যেকবুদ্ধগণ জগতের হিতার্থে দেহপ্রভাদ্বারা দিগন্ত পূর্ণ করিয়া তথায় আগমন করিলেন ও সহস্য বদনে রাজাকে বলিলেন । ১৮৬। রাজন, বহুকালের পর বিরহের অবসান হইয়াছে ; এখন রাজপুত্র বা দেবী পদ্মাবতী কেহই অসহ্য পরিত্যাগদশ সহ্য করিতে পরিবেন না। দুঃখপরম্পরা বারংবার উপর্য্যুপরি হইতে পারে না। ১৮৭। যিনি শরণাগত ব্যক্তির দুঃখনাশার্থে নিজ দেহ অর্থীকে প্রদান করেন, তিনি স্বজনের প্রতি কিরূপে উপেক্ষা করিবেন । ইহাও পরোপকার ধৰ্ম্ম জানিবে । ১৮৮ ৷ নরেশ্বর প্রত্যেকবুদ্ধগণকথিত এই বাক্য শ্রবণ করিয়া মনে মনে তথাস্থ নিশ্চয় করিয়া বিমানদ্বারা আকাশমার্গে নিজপুরীতে গমন করিয়া পুত্রের সহিত নিজ রাজ্যপদ প্রাপ্ত হইলেন । ১৮৯ । এইরূপে বিপুলসত্ত্ব ও সত্যবান বোধিসত্ত্ব হুচিরকাল রাজ্য ভোগ করিয়া সৌগতধাম প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তিনি নানাবিধ জিনমন্দির, মণিময় চৈত্য এবং ছত্র রত্ন ও প্রদীপ প্রভৃতি দ্বারা বিপুল কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন । ১৯০ { ভগবান বুদ্ধ দানোপদেশ দ্বারা ভিক্ষুকগণের সম্যক সম্বুদ্ধিলাভের জন্য এইরূপ নিদর্শনস্বরূপ নিজেব পূৰ্ব্বজন্মবৃত্তান্ত বলিয়াছিলেন । ১৯১।