পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| १२ } রাজা মান্ধতা অমাত্যকথিত এই বাক্য শ্রবণ করিয়া করুণাপরায়ণ হইলেন এবং পক্ষিগণের শাপবৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া বড়ই তাপিত হইলেন । ৩৬ । অহে শান্তিপরায়ণ বনবাসী মুনিগণেরও কি ভয়ানক ক্রোপ । অঙ্গারবত্তী অগ্নি ও মুনিগণের পরিণত তেজ নিশ্চয়ই দগ্ধ করিবে । ইহঁাদিগকে কেহই নিবারণ করিতে পারে না । ৩৭। যাহার ক্ষমাবরি দ্বারা কোপ তপ্ত মনের পরিষেচন করিতে পারেন নাই, তাহদের নিজসুখের জন্য মিথ্য তপস্যা করার প্রয়োজন কি । ৩৮ ৷ র্যাহীদের বুদ্ধি প্রসন্ন ও মন মৈত্রসম্পন্ন এবং র্যাহদের দয়া দান ংযম ও ক্ষম আছে, তাহীদেরই তপস্যা প্রশংসনীয় । তদস্য ব্যক্তির পক্ষে তপস্যা শরীরশোষণমাত্র । ৩৯ ৷ কোপান্বিত ব্যক্তির তপস্যায় কি প্রয়োজন ; ভীরু ব্যক্তির বলের কি প্রয়োজন ; লুব্ধ ব্যক্তির ধন নিষ্ফল ; দুৰ্ব্বস্ত ব্যক্তির শাস্ত্রাভ্যাসও নিষ্ফল । ৪০ ৷ ঈদৃশ কলুষিতচিন্ত কোপপরায়ণ দুঃসহ মুনিগণ আমার রাজ্য হইতে চলিয়া যাউক । ৪১ ৷ রাজ। এই কথা বলিয়। তখনই লোক দ্বারা মুনিগণকে বলিয়া পাঠাইলেন, যে যেপৰ্য্যন্ত আমার অধিকার তাছে, সেপৰ্য্যন্ত ভূমি তোমর ত্যাগ করিয়া যাও । ৪২ ৷ মুনিগণ বিহঙ্গগণের পক্ষ-পাত দর্শনে কুপিত রাজার এতাদৃশ বাক্য শ্রবণ করিয়া অতিশয় লজ্জিত হইলেন ও মনে মনে চিন্তা করিতে লাগিলেন । ৪৩ ৷ এই রাজা মান্ধাত চতুঃসাগরমেখলা পৃথিবীর অধিপতি। আমরা এখন কোন দেশে যাইব যাহা ইহার অধিকারভুক্ত নহে। ৪৪ ৷