পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 3 ) যাবজ্জভূভূরিভূভূৎক্রতসলিলচলন্মালিকা শেষশীর্ষে ময়ূরচ্ছত্ৰশোভামনুভবতি ফণীরত্বরশ্মিপ্রতানৈঃ । ধত্তে যাবৎ সুমেরুঃ ক্ষিতিতল কমলে কণিকাকারকাস্তি শাস্তুস্তাবৎ কথেয়ং কলয়ত্ব জগতাং কল্প পূরপ্রতিষ্ঠাম। ও । পরিশেষে বক্তব্য এই যে, ভটপল্লীনিবাসী পণ্ডিতপ্রবর শ্ৰীযুক্ত কুঞ্জবিহারী ন্যায়ভূষণ মহাশয়ের সাহায্যেই আমি এই সুবৃহৎ ও সুকঠিন গ্রন্থের অনুবাদকার্য্য সম্পন্ন করিতে সমর্থ হইয়াছি। কারণ বৌদ্ধগ্রন্থের সংস্কৃত সাধারণ সংস্কৃত হইতে অনেক অংশে বিভিন্ন এবং তাৎপৰ্য্যাৰ্থ স্বতন্ত্র। ইহার কারণ এই যে, প্রথমতঃ বৌদ্ধগ্রন্থ গুলি মাগধী ভাষায় রচিত হয় এবং পরে সিদ্ধ নাগাৰ্জুন, আর্য্যদেব : দিঙ নগাচাৰ্য্য প্রভৃতি মহাপণ্ডিতগণের চেষ্টায় সংস্কৃত ভাষাতেও অনেক বিষয় লিখিত হয়। কাজেই উভয় ভাষার সংমিলনে বৌদ্ধসংস্কৃত একটা নূতন রকম ভাষাই হইয়াছে। এতাদৃশ গম্ভীরার্থ বৌদ্ধ-সংস্কৃতে অভিজ্ঞতা ভারতীয় পণ্ডিতদিগের মধ্যে অতি বিরল। পূর্বোক্ত ন্যায়ভূষণ মহাশয় ১৮ বৎসর কাল এসিয়াটিক সোসাইটতে থাকিয়া ও সোসাইটার সমস্ত পুস্তকের অনুশীলন করিয়া বৌদ্ধ তাৎপৰ্য্যাৰ্থ গ্রহণে সম্যক ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়াছেন। ইহার সাহায্য পাইয়াই, আমি এ কাৰ্য্যে অগ্রসর হইয়াছি। প্রথম হইতে এতাদৃশ পণ্ডিতের সাহায্য পাইলে অনেক কাল পূর্বেই এই অনুবাদকার্য্য সম্পাদিত হইয়া যাইত। লিকাতা & - কালকাত } শ্ৰীশরচ্চন্দ্র দাস গুপ্তস্য বৈশাখী পূর্ণিম, ১৩১৮ বঙ্গাব্দ