পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ &లం 1 কস্তাগণের পূজনীয়”, এই কথা প্রচার করিতে করিতে চতুর্দিক ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । ১৭-১৮ । তিনি নগরে, গ্রামে ও পথে প্রতিমা পূজার জন্য উপস্থিত বহু কন্য দেখিলেন, কিন্তু তত্ত্ব ল্য একটিও দেখিতে পাইলেন না। ১৯। তৎপরে একদিন বৈশালী নগরীতে কপিল নামক ব্রাহ্মণের ভদ্রানাম্নী কন্যাটি হেমপ্রতিমা অপেক্ষাও অধিক কান্তিমতী দেখিতে পাইলেন। ২০ । বৈরাগ্য ও বিবেকবর্তী ঐ কন্যা বিবাহবিমুখী ছিল। ব্রাহ্মণ কপিলের নিকট বংশ-বিবরণ বর্ণনা করিয়া ঐ কন্যাটি প্রার্থনা করিলেন । ২১ । কন্যার পিতা তাহাকে বলিলেন,—কাশুপ-গোত্রসস্তৃত ন্যগ্রোধকল্পের বংশ বিখ্যাত সদ্বংশ ; কিন্তু ধনবান দেখিয়া প্রযত্ন পূর্বক কন্য দান করা উচিত। দরিদ্রের ঘরে দিলে কন্যা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগদ্বারা পিতার মন দগ্ধ করে। ২২-২৩। কলহাসক্ত পত্নী, নিৰ্দ্ধন জনে প্রদত্ত কন্যা এবং ব্যসনাসক্ত পুত্র, এই তিনটিই তপ্ত সূচীর ন্যায় অসহ বলিয়া মনে হয়। ২৪ । জলনিধি পুরুষোত্তম বিষ্ণুকে নিজ কন্য। লক্ষী প্রদান করিয়া তৎপরে বলি রাজার নিকট প্রার্থনা করায় বামন (অর্থাৎ ক্ষুদ্র) বলিয়া জানিতে পারিয়া হৃদয়াসক্ত বড়বানলব্ধপ শোকে উচ্ছসিত হইয়াছিলেন। অদ্যাপি সেই তীব্র সন্তাপ তিনি ত্যাগ করিতে পারেন নাই । ২৫ । অতএব ধনবান অন্বেষণ করিয়া এবং তাহার বিভবের উন্নতি দেখিয়া সৎকুলে কন্যা দান করিব। সদগুণাদি সকলই ধনের अथौन ।। २७ ।। ব্রাহ্মণ কন্যার পিতা ও তদীয় কন্যাগণের এইরূপ কথা শুনিয়া তাহাই হইবে বলিয়া কুমারের পিতার নিকট গেলেন । ২৭ ।