পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ८१२ ] মুনি তাহাকে বলিলেন যে, অমোঘ নামক পাশ যাহার হস্তগত আছে, সে কিন্নর-কামিনীকে হরণ করিতে পারে। ৭৩। ' ব্যাধপুত্র উৎপলক এই কথা শুনিয়া মুনিকে প্রণাম পূর্বক উৎসাহ সহকারে পাশটি গ্রহণ করিয়া নাগরাজ-ভবন-সন্নিধানে গমন করিল ॥৭৪ তথায় সে ক্রীড়াবিলাসে আসক্ত, বায়ুচালিত হেমলতার ন্যায় সুন্দর কিন্নরগণকে দেখিতে পাইল এবং তাহদের মধ্যবৰ্ত্তিনী স্বানোথি তা মনোহরাকেও দেখিল । মনোহরাকে দেখিয়া বোধ হয় যেন, মহাদেবের নয়নাগ্নিদ্বারা দগ্ধ কন্দপের নির্বাণের জন্য জলদেবতা আসিয়াছেন । ৭৫-৭৬ । কন্দপ-বিলাসরূপ তরঙ্গযুক্ত যৌবন-সাগরে শৈশব মগ্ন হইতেছে। এই হেতু তাহার অবলম্বনের জন্য যেন মনোহর বক্ষঃস্থলে দুইটি কুন্তু ধারণ করিয়াছেন । তাহার পরিধেয় দিব্যবস্ত্রোপরি মেখলাদাম সংলগ্ন থাকায় বোধ হয় যেন, জল-কেলিকালে জলের ফেণী তাহার বস্ত্রে সংলগ্ন হইয়াছিল, তাহ এখনও রহিযাছে। লাবণ্যপ্রবাহ সদৃশ উজ্জ্বল হারের কান্তিদ্বারা জ্যোৎস্নাময় রজনীর ন্যায় তাহাকে সুন্দর দেখাইতেছে। কর্ণাভরণস্থ রত্বের কিরণদ্বারা ও কর্ণোৎপলদ্বারা শোভিত তদীয় কপোলদ্বয়ে জলক্রীড়াবশতঃ প্রোঞ্ছিত পত্ৰলতা পুনর্বার চিত্রিত করা হইতেছে । সখী কস্তরী-রেখাদ্বারা কপালে টিপ্‌ পরাইয়া দিতেছে । তাহাতে চন্দ্রে কলঙ্ক থাকার জন্য মনোহরার মুখাপেক্ষা হীনতাজ্ঞানে চন্দ্রের যে মনঃক্লেশ ছিল, তাহ দূর করা হইতেছে । ৭৭—৮১ । লুব্ধক মনোহরাকে দেখিয়া বিস্ময়াবেশে আকৃষ্টচিত্ত হইয়া ঝটিতি অমোঘ নামক পাশবন্ধনটি সজ্জিত করিল। ৮২ ৷ তৎপরে হরিণনয়ন। কিন্নরগণ পাশহস্ত লুব্ধককে দেখিয়৷ ভয়বশাৎ চকিতভাবে সহসা আকাশে উৎপতিত হইল । ৮৩ ৷