পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@bra তৎপরে অন্তঃপুরে আসিয়৷ পিতাকে প্রণাম করিলেন । পিতা তখন সুষার বিপদের কথা বলিতে ক্লেশবশতঃ কম্পিত হইতে লাগিলেন এবং পিতার অন্তঃপুরবত্তী সকলেই শোক-শল্যাঘাতে উৎসবহীন ও অধোমুখ হইল। তদর্শনে স্থধন অমঙ্গল আশঙ্ক৷ कद्विालन ॥ २२8-२२¢ । “বিরহাৰ্ত্ত তম্বঙ্গী মনোহর জীবিত আছে ত?” এই কথা সুধন জিজ্ঞাসা করিলে যখন কেহই অপ্রিয় কথা বলিল না, তখন র্তাহার জননী বলিলেন,—পুত্র ! তোমার প্রিয়া জীবিত আছে, তবে প্রাণসংশয় উপস্থিত হওয়ায় চূড়ামণিটি লইয়া চলিযা গিয়াছে। ২২৬-২২৭। সুধন এই কথা শুনিয়াই সহসা মহীতলে পতিত হইলেন। তদীয় হার ছিন্ন হইয়া ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হওয়ায় যেন পৃথিবীর অশ্রুবিন্দুর ন্যায় উহা বোধ হইল। ২২৮ । তুষার-শীকরযুক্ত হরিচন্দন-জল দ্বারা ক্রমে সংজ্ঞা লাভ কবিয়া সুধন সাশ্রনয়নে গদগদ স্বরে বিলুপ করিতে লাগিলেন । ২২৯ । ভূতলে চন্দ্রকান্তিস্বরূপা ও মন্থনাভাবেও বিনা যত্নে সমুদগত অমৃতের প্রবাহরূপী এবং কুসুম-শরের অযত্ন-সম্পাদিত রত্নবলভীতুল্য মনোহর কোথায় গেল ? ২৩০ । আমি পিতার আজ্ঞায় আবদ্ধ হইয়া দূরদেশে গমনকালে বাষ্পীকুললোচনা, হরিণনয়নার ধৈর্য্য বিধান করি নাই, সেই জন্যই আমার উপর কনদপের তাভিশাপ পতিত হইয়াছে । ২৩১ । মনোহরে । তুমি কোথায় গিয়াছ ? আমার কথার প্রত্যুত্তর দেও। আমি প্রমাদ বশতঃ সেই হরিণাক্ষীকে রক্ষা করি নাই। ২৩২ । র্তাহার সমাগমজন্য সৌভাগ্য হেতু আমি দেব-সভায় প্রশংসনীয় হইয়াছিলাম। র্তাহার বিয়োগে মনুষ্যমধ্যে গণ্য আমার আর কি শোভা আছে ? ২৩৩ ।