পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ 4.२२ } শীত, আতপ, অন্ধকার, সর্প ও রাক্ষসাদির ভয়নাশক মহৌষধি প্রাপ্ত হইলেন। ২৭১ । - তৎপরে তিনি যন্ত্রপর্বতদ্বয়ে গিয়া সংঘট দ্বারা লোকের প্রাণনাশক যন্ত্রকৗলটি শরাগ্র দ্বারা ছেদন করিয়া নিশ্চল করিলেন। ২৭২। তিনি যন্ত্রকাল উচ্ছেদ দ্বারা যন্ত্রদ্বার বিদীর্ণ করিয়া যন্ত্ৰচক্রের ছেদন করিলেন এবং তীব্র প্রহারকারী লৌহময় পুরুযদ্বয় ও দুঃসহ যন্ত্রমেষদ্বয় এবং যন্ত্রময় উগ্র দস্ত দ্বারা নিষ্পেষণকারী মকর ও রাক্ষসদ্বয়কে ছিন্ন করিয়া, ঘোর অন্ধকারময় গুহাকৃপ লঙ্ঘন করিয়া, তুঙ্গা নাম্নী নদী উত্তীর্ণ হইয়া এবং সেই নদীকূলস্থ রাক্ষসগণকে হত্যা করিয়া, সপারতজলা পতঙ্গখ্যা নদী পার হইয়া রোদিনী নদী পার হইলেন । এই নদীর তীরে কিন্নরচেটিকাগণ রোদন-শব্দ দ্বারা তদগতচিত্ত জনগণের বিঘ্ন সম্পাদন করে। এই রোদিনীর ন্যায় হাসিনী নামে অন্য একটি নদী পার হইলেন । এই নদীর পুলিনে কিন্নরাঙ্গনীগণ হাস্য দ্বার লোকের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া বিপদ উপস্থিত করে। সুধন অন্যান্য অনেক নদী অতিক্রম করিয়া বেত্র নাম্নী নদী প্রাপ্ত হইলেন । তথায় কুলস্থ বেত্ৰলত অবলম্বন করিয়া নদী পার হইবার মানসে বায়ু-প্রেরিত পরপারের একটি বেত্ৰলতা পাইয় তাহাদ্বারা পরপারে গিয়া স্ফটিকময় মন্দির-মণ্ডিত কিন্নরপুর দেখিতে পাইলেন । ২৭৩–২৮০ । সুধন কিন্নরপুরে প্রবেশ করিয়া কনকপদ্ম-শোভিত কান্ত নাম্বী পুষ্করিণীর তীরস্থ ব্লক্ষে আরোহণপূর্বক রতুলতা দ্বারা আরত হইয়া রহিলেন । ২৮১ । তিনি দেখিলেন যে, কিন্নরাঙ্গনাগণ হেমকুন্ত দ্বারা পদ্মরজঃপুঞ্জে সুরভি কান্ত সরসীর জল লইয়া যাইতেছে । ২৮২ | একটি কিন্নরাঙ্গন কলসী উত্তোলনের জন্য পরিশ্রান্ত হইলে, সুধন হস্তাবলম্বনদ্বার তাহার সাহায্য করিয়া তাহাকে জিজ্ঞাস। করিলেন।২৮৩