পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৬০৪ } ও মৃগসদৃশস্বভাব জানিতে পারিয়া লজ্জ ত্যাগপূর্বক আশঙ্কিতচিত্তে দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গন করিলেন। ৩৬ । - তৎপরে একশৃঙ্গের মন আনন্দরসে আর্দ্র হইলে মৃদুভাষিণী নলিনী কোমলস্বরে বলিলেন,—এই তপোবনের নিকটেই আমার আশ্রম, সেখানে সুস্বাক্ট ফল ও সুগন্ধি পুষ্প প্রচুর পরিমাণে আছে । ৩৭ ৷ নলিনী এই কথা বলিয়। মাধুর্য্য ও চমৎকৃতিযুক্ত সৎকবির সূক্তি দ্বারা যেরূপ লোককে প্রলোভিত করা যায়, তদ্রুপ ঈষৎ হাস্যপূর্বক কপূরপরাগ-সুরভিত মোদকদ্বারা একশৃঙ্গের মন প্রলোভিত করি লেন। ৩৮ | তিনি সেই রসনার সুখপ্রদ মোদকদ্বারা ও চিত্তের উল্লাসকর প্রেমবিলাস দ্বারা এবং কর্ণসুখকর প্রণয়োক্তি দ্বারা মৃগসদৃশ একশৃঙ্গকে বগুড়াবদ্ধবৎ করিয়া লইয়া গেলেন। ৩৯। একশৃঙ্গ সোল্লাসে বলিলেন,—তোমার কমনীয় তপোবন দেখাও । তখন নলিনী ভূজলত। দ্বারা তাহাকে গাঢ় আলিঙ্গন করিয়া মুদিতনয়ন একশৃঙ্গকে বলিলেন,--এস, আমার সঙ্গে এস। ৪০ ৷ একশৃঙ্গ যাইতে উদ্যত হইলে নলিনী কএক পা অগ্রসর হইয় সম্মুখে তাহার গমনের জন্য সজ্জিত রথে আরোহণপূৰ্ব্বক হস্ত প্রসারিত করিয়া তাহাকে রথে আরোহণ করিতে বলিলেন । ৪১ ৷ ভেদজ্ঞান-বর্জিত একশৃঙ্গ রথে সংলগ্ন তুরঙ্গগণকে কুরঙ্গ মনে করিয়া বলিলেন যে, আমি মৃগীপুত্র হইয়া কিরূপে মৃগ-সংলগ্ন এই স্থান পাদদ্বারা স্পর্শ করিব ? তাহ পারিব না। ৪২ ৷ অতঃপর রাজকুমারী মনের দ্বারা মুনিকুমারকে বহন করিয়৷ মনোবৎ বেগগামী রথদ্বারা নিজ রাজধানীতে গিয়া সমস্ত বৃত্তান্ত রাজার নিকট বলিলেন । ৪৩ ৷