পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ مدنه ] রাজা এইরূপ আদেশ করিলে পূর্বে উপেক্ষ করার জন্য লজ্জিত অমাত্য গজ, অশ্ব, রথ ও পদাতি সহ যাত্রা করিলেন । ২৯ । ইত্যবসরে সুধৰ্ম্ম গৃঢ়ভাবে পুত্রকে ডাকিয়া রাজার মন্ত্রণার কথা র্তাহাকে বলিয়া তথা হইতে পলায়ন করিতে বলিলেন। ৩০ । মাত একটি চূড়ামণি দিয়া তাহাকে বিদায় দিলে তিনিও সম্বর হইয়া পলায়ন করিলেন। অমাত্য দূর হইতে সেই রত্নভূষিত কুমারকে দেখিতে পাইয়া “নিশ্চয় রাজপুত্ৰই গৃঢ়ভাবে পলায়ন করিতেছে” বুঝিয় তাহার বধের জন্য উগ্রস্বভাব সৈন্যগণকে প্রেরণ করিলেন। ৩১-৩২ । মৃগবেগে পলায়নকারী, দূরগত কুমার পশ্চাতে সৈন্যগণকে বেগে আসিতে দেখিয়া চম্পকনামক নাগের বাসস্থান জলাশয়মধ্যে প্রবেশ করিলেন । ৩৩ । এইরূপে কুমার চক্ষুর সম্মখে লুকায়িত হইলে মহামাত্য র্তাহাকে অন্বেষণ করিবার জন্য বহু প্রযত্ন করিলেন। পরে পদক নামক একটি গুপ্তচরকে নিযুক্ত করিলেন । ৩৪ ৷ কুমার চূড়ামণি-প্রভাবে জল স্তম্ভিত করিয়াছেন দেখিয়া নাগ তাহাকে আশ্বাসনপূর্বক “এইখানেই থাক”, এই কথা বলিল । ৩৫ ৷ গুপ্তচর জলাশয়তটে রাজপুত্রসদৃশ পদচিহ্ন দেখিয়া কবিকুমার নাগভবনে আছেন বুঝিয়া অমাত্যকে তাহ বলিল । ৩৬ । তৎপরে মহামাত্য নাগেন্দ্র-ভবনের চারিদিক বেষ্টন করিয়া নাগরাজকে রাজাজ্জা শুনাইলেন । ৩৭। হে ভুজঙ্গম ! তোমার এই বাসস্থান ধুলিদ্বারা পূর্ণ করিব। প্ৰভু কুপিত হইলে জলকে স্থল ও স্থলকে গৰ্ত্ত করিতে পারেন। ৩৮ ৷ যদি তুমি ভুজঙ্গী-ভোগেচ্ছা কর, তাহা হইলে স্বয়ং রাজরাজের শক্ৰ রাজপুত্রকে পরিত্যাগ কর । ৩৯ ৷ १b”