পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 جوا তখন একজন মুনি বাসের জন্য র্তাহাকে একখানি শূন্য কুটার দিল এবং বলিল যে, এখানে তুমি মৌনী হইয়। রাত্রি যাপন করিবে । ৪২ ৷ তথায় মুনিগণ তাতিথা না করায় তিনি রাত্রিযাপন মানসে শুইয়৷ রছিলেন। পরে আশ্রম-দেবতা আসিয়া বলিলেন,–হে সাধো ! উঠ, সৌজন্যবশতঃ আমাকে ধৰ্ম্মোপদেশ কর। ইহলোকে তুমি সদ্ধৰ্ম্মবাদীদিগের শ্রেষ্ঠ । ৪৩-৪৪ । মৌনাবলম্বী সঙ্ঘরক্ষিত আশ্রমদেবতা কর্তৃক এইরূপ প্রাথিত হইয়া লঘুস্বরে বলিলেন,—মতঃ ! আমাকে তাড়াইবার জন্য তোমায় কে পাঠাইল ? ৪৫ ৷ এখানে একজন মুনি মৌনী হইয়া থাকিবার জন্য আশ্রয় দিয়াছেন, আমি তাহার ব্যতিক্রম করিলে আমাকে তাড়াইয়া দিবেন। ৪৬। তিনি এই কথা বলিলেও আশ্রমদেবতা প্রণয়পূর্বক বহু বার প্রার্থন করায় তিনি ব্রাহ্মণানুমত ধৰ্ম্ম বলিতে তারস্ত করিলেন ॥৪৭ ব্রতসকল শরীরের শোধন করে এবং বিজন তপোবন শরীর পবিত্র করে ; কিন্তু উহা জটাজনধারী মুনিগণের স্পৃহাময় চিত্তের শোধন বা পবিত্রতা করিতে পারে না । এই বনবাসী ও ফলভোজী কপিগণ এবং বল্কল ও জটাধারী রক্ষগণ মুক্ত হইতে পারে না এবং তীৰ্থজলে বাসকারী মৎস্যগণও মুক্ত নহে । যাহার। শান্তিহীন, তাহদের তপস্যার আড়ম্বর করা বৃথা । ৪৮-৪৯ । ভস্ম দ্বারা ধবলিত হস্তিগণ, বায়ভোজী সৰ্পগণ, বনবাসী মৃগগণ, ভূমিশায়ী মহিষগণ, ফলাহারী শুকগণ ও বস্ত্রহীন ব্যাধগণ কখনও শান্তি লাভ করিতে পারে না । বিযয়-বাসনা ত্যাগ করিতে না পারিলে কিছুতেই শান্তিলাভ হয় না । ৫০ । সঙ্ঘরক্ষিতের এই কথা শুনিয়া মুনিগণও বিস্মিত হইলেন এবং সকলেই আদরপূর্বক ভাহাকে বেষ্টন করিয়া অবস্থান করিলেন । ৫১ ৷