পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ७२७ ॥ চীবরপ্রান্তে লম্বিত করিয়া আকাশমার্গে শাস্তার স্থানে গিয়া তদীয় পাদপদ্মদ্বয় বন্দনাপূর্বক সমস্ত বৃত্তান্ত নিবেদন করিলেন। ৬১-৬২ । ভগবান প্রণয়ীর প্রতি প্রতিবশতঃ র্তাহার কথায় চিত্তপ্ৰসাদকারিণী । ধৰ্ম্মদেশনা করিলেন । র্তাহার। চিত্তপ্রসাদবশতঃ নিৰ্ম্মল শান্তি লাভ করিয়া সর্ববক্লেশবর্জিত ও পূজনীয় অহৎপদ প্রাপ্ত হইলেন। ৬৩-৬৪ । র্তাহার। চলিয়া গেলে সঙ্ঘরক্ষিত শাস্তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,— হে ভগবন! স্তম্ভ ও কুড্যাকৃতি, ফল ও পুষ্পসদৃশ এবং রজ্জ বৎ ও তন্তুশেষ কতকগুলি প্রাণীকে আমি পথে দেখিয়াছি, তাহাদের কৰ্ম্মফল কিরূপ ? ৬৫-৬৬ । তিনি এই কথা জিজ্ঞাসা করায় সর্ববজ্ঞ ভগবান তাহাকে বলিলেন,— পুরাকালে কাশ্বপ নামক শাস্তার কতকগুলি শ্রাবক শিষ্য ছিল । তাহারা বিহারের স্তম্ভে ও কুড্যে শ্লেষ্মা নিক্ষিপ্ত করিয়াছিল। কয়েক জন সঙ্ঘ-বৃদ্ধদিগের ফল ও পুষ্প ভোগ করিয়াছিল । অন্য কয়েক জন বিদ্বেষবশতঃ ভিক্ষুগণের পান-ভোজনে বিঘ্ন করিয়াছিল। আরও কয়েকজন ভিক্ষুগণের সঙ্ঘলব্ধ বস্তু পরিবর্তিত করিয়াছিল। তাহারা সেই কৰ্ম্মফলে সেই আকার প্রাপ্ত হইয়াছে । ভগবানের এই কথা শুনিয়া তিনি বিস্মিত হইলেন । ৬৭-৭০ ৷ সঙ্ঘরক্ষিত অহঁৎপদ পাইয়াছেন দেখিয়া ভিক্ষুগণ তদীয় কৰ্ম্মের কথা জিজ্ঞাসা করায় ভগবান বলিলেন,—পুরাকালে ইনি প্রব্রজিত হইয়। শাস্ত কাশ্যপের আজ্ঞায় বিহারে সঙ্ঘের পরিচর্য্যাকারী হইয়াছিলেন। বিহারে পঞ্চশত ভিক্ষু ছিল । ইনি দেহান্তসময়ে কুশললাভের জন্য প্রণিধান করিয়াছিলেন । সেই জন্য এ জন্মে ইনি অহৎপদ প্রাপ্ত হইয়াছেন । সেই পঞ্চ শত ভিক্ষু পঞ্চ শত মুনি হইয়াছেন । ৭১–৭৪ । রক্ত, শুক্ল, কৃষ্ণ ও চিত্রবর্ণ কৰ্ম্মসূত্র দ্বারা রচিত বিচিত্রাকার জন্মরূপ বস্ত্র বহুবার পরিধান করিতে হয়। জরাজীর্ণ ভূজগ যেরূপ মান