পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চসপ্ততিতম পল্লব । প্রতীত্যসমুৎপাদাবদান । सव्र्वमविद्यामूलं संसारतरुप्रकारवैचिचयम् । ज्ञातुं वतुं इन्तुं क: शक्नोत्यन्यत्र सर्व्वज्ञात् ॥ १ ॥ অবিদ্যারূপ মূল হইতেই এই সকল সংসারবৃক্ষের নানাপ্রকার বৈচিত্র্য হইয়াছে। ইহা বুঝিতে, বলিতে ও বিনাশ করিতে সর্বজ্ঞ ভিন্ন অন্য কেহই পারে না । ১ । পুরাকালে অশেষদশী ভগবান জিন শ্রাবস্তী নগরীর জেতবনে অবস্থিতিকালে ভিক্ষুগণকে বলিয়াছিলেন,—ঙ্গে ভিক্ষুগণ ! তোমাদের মন প্রজ্ঞার আলোকে নিৰ্ম্মল হইয়াছে ; অতএব মঙ্গল লাভের জন্য প্রতীত্যসমুৎপাদের কথা শ্রবণ কর। আমি তোমাদিগকে বলিতেছি । ২-৩ ৷ অবিদ্যাই বাসন এবং ইহাই দুঃখময় বিপুল সংসাররূপ বিষবৃক্ষের মূলবন্ধন বিধান করে । অবিদ্যা প্রত্যয় হইতে কায়িক, বাচিক ও মানসিক নামক তিনটি সংস্কার হয় । এই সংস্কার হইতে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বিজ্ঞানময় মন উদিত হয়। মনদ্বারা সংজ্ঞা ও সনদর্শন নামক নাম ও রূপের প্রত্যয় হয় । তৎপরে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মনের আশ্রয়ে ষড়ায়তন নামক অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের বিষয় রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ ও শব্দাদির উদ্ভব হয় | ৪-৬ ৷ এই ষড়ায়তন সংশ্লেষকেই স্পর্শ বলে এবং এই স্পর্শের অনুভবকে বেদন বলে। বিষয়সংশ্লেষে অনুরাগবশতঃ তৃষ্ণার উদ্ভব হয় । তৃষ্ণ হইতেই কামাদির উপাদান প্রবৰ্ত্তিত হয়। এই উপাদান হইতেই কামনার অনুরূপ বিচিত্র সংসারের স্বষ্টি হয় এবং নানা যোনিতে জন্ম