পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8७७ ] গুণবিদ্বেষ ভরদ্বাজ তাহা গ্রহণ করিয়াও শক্রতা করিতে বিরত হইল না। দুর্জন উপকার বা প্রীতি দ্বারা আত্মীয় হয় না । ৬৫ ৷ ভরদ্বাজ বিহারের পরিচারিকাকে নির্জনে ডাকিয়া, তাহাকে সেই বস্ত্রযুগল প্রদান পূর্বক সমাদর সহকারে বলিলেন। ৬৬। তে সুমধ্যমে ! তুমি এই বস্ত্রযুগল পরিধান করিবে এবং লোকে জিজ্ঞাস করিলে মৃদুস্বরে বলিবে যে, ইহা আমাকে বশিষ্ঠ দিয়াছেন । ৬৭ ৷ পরিচারিক ভরদ্বাজের কথা স্বীকার করিয়া চহার আদেশমত কাৰ্য্য করিল। তাহতে লোকে বশিষ্ঠের চরিত্রে সন্দেহ করিতে লাগিল । ৬৮ ৷ তৎপরে বশিষ্ঠের চরিত্রে সন্দেহ হওয়ায় লোকে আর তাহাকে সমাদর করিত না ; এ জন্য তিনি দূরদেশে চলিয়া গেলেন। মহাজনগণ স্বভাবতঃ সমাদর-হানির ভয় করিয়া থাকেন । ৬৯ ৷ আমিই সেই ভরদ্বাজ ছিলাম। অন্যান্য জন্মে সেই পাপফল ভোগ করিয়া এখন অবশিষ্ট পাপফলে সুন্দরী কর্তৃক মিথ্যা অপবাদগ্ৰস্ত হইয়াছি । ৭০ ৷ পুরাকালে আমি বারাণসীতে এক ব্রাহ্মণরূপে জন্মগ্রহণ করিয়া কুটতর্ক দ্বারা একজন পঞ্চাভিজ্ঞ ধামান মুনির কাৰ্ত্তিনাশ করিয়া ছিলাম । ৭১ ৷ পুরাকালে বারাণসী নগরীতে কন্দপের জয়পতাকাস্বরূপ ভদ্রা নামে একটি সুন্দরী বেশ্বা ছিল । ৭২ ৷ একদিন কুটিলস্বভাব মৃণাল নামক এক বিট ঐ বেশ্বাকে দেখিয়া রাত্রি-ভোগের জন্য তাহাকে বস্ত্র ও ভূষণ প্রদান করিল । ৭৩ ৷ তৎপরে দিবাকর তরল রাগে রঞ্জিত সন্ধ্যার সঙ্গমে উন্মুখ হইয়৷ গগনপ্রাঙ্গণের একদেশে লম্বমান হইলে ভদ্র। নিজ ভবনে গিয়া