পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ & ನಿನಿ সৰেীষধ নামে ইহঁার এক পুত্র ছিল। ইনি সকল প্রাণীর হিতসাধনে সতত উদ্যত ছিলেন। মহেন্দ্রসেনের পুণ্যরাশিই যেন পুত্রকারে উৎপন্ন হইয়াছিল, এইরূপ বোধ হইত। ৭। এই সত্ত্বৌষধই ভদ্রকল্প নামক কল্পের বোধিসত্ত্ব ছিলেন । ইনি সত্ত্বগুণে ভূষিত ছিলেন এবং করুণ, মুদিত, উপেক্ষা ও মৈত্রীর পরম প্রিয় ছিলেন । ৮ । নানা নগর, গ্রাম ও বন্যস্ত হইতে এবং দিগন্ত ও দ্বীপান্তর হইতে রোগিগণ আসিয়া ইহঁর স্পর্শমাত্রে নীরোগ হইত। ৯ । যাহার দেহ সতত প্রচুররূপে পরোপকার করে, এরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় সুজনই এই সংসাররূপ কাননমধ্যে চন্দনতরু বলিয়া গণ্য হন । ১০ । সাধুসমাগম যেরূপ দুৰ্জ্জন কর্তৃক দুঃখপ্রাপ্ত জনের স্থখ সম্পাদন করে, তদ্রুপ ইনি দুঃসাধ্য ব্যাধিপীড়িত জনের সহসা স্বাস্থ্য বিধান করিতেন । ১১ ! ইহার শরীরস্পশে রোগ দূর হওয়ায় এবং ধনদান দ্বারা লোকের মনের কষ্ট দূর হওয়ায় ইহঁর রাজ্যমধ্যে কেহই পীড়িত বা যাচক ছিল না । ১২। তৎপরে লোকের পুণ্যক্ষয় হওয়ায় সৰ্ব্বাশ্চৰ্য্যনাশক কাল কর্তৃক ইনি নিধন প্রাপ্ত হইলেন । ১৩ । চন্দ্রের সৌন্দৰ্য্য কয়েকদিন মাত্র জন-নয়ন আস্বাদন করিতে পায় । সুগন্ধি ও সুরূপ কুসুমগণের শোভাও ক্ষণকালস্থায়ী। কালের ইচ্ছ। অকালে প্রিয় জনের বিচ্ছেদ করিতে অত্যন্ত নিপুণ । ইহা কাহার কিরূপ মনোদুঃখের বিধান না করে ? ১৪ । লোকে বিপুল পুণ্যরূপ পণদ্বারা যাহা কিছু সুন্দর, সুখকর ও কষ্টনাশক বস্তু লাভ করে, তৎসমুদয়ই কালকর্তৃক বিনষ্ট হয়। মূঢ় জনগণ ইহা দেখিয়াও কখনই বিবেক-লেশ স্পশ করে না । ১৫ ।