পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ d०२ } তথায় তিনি বহু সমস্তগণের মুকুট-মণিতে প্রতিবিম্বিত হওয়ায় যেন অসংখ্য দেহ ধারণ করিয়া প্রজাকাৰ্য্য শ্রবণ করিতে লাগিলেন ॥৮ ইহঁর সম্মুখবর্তী প্রণত অধিগণ চন্দ্রকান্তমণিময় পাদপীঠে প্রতিবিম্বিত হইয়া চিন্তাজনিত সন্তাপ পরিত্যাগ করিল । ৯ । ইত্যবসরে দগ্ধপক্ষের ন্যায় গতিহীন একটি পারাবত কোথা হইতে পরিভ্রষ্ট হইয় রাজার উরুমূলে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিল। ১০ । রাজা সহসা ভীত, উদভ্ৰান্তনয়ন ও সঙ্কুচিতাঙ্গ পারাবতটিকে দেখিয়া দয়াপরবশ হইলেন। ১১ ৷ তিনি কোথা হইতে ইহার ভয় উপস্থিত হইল, ইহা দেখিবার জন্য লক্ষীর ক্রীড়াপদ্মের ন্যায় মনোরম নয়নদ্বারা চতুর্দিক বিলোকন করিতে লাগিলেন। ১২। এই সময়ে ইন্দ্র ইহঁীর সত্ত্বগুণ পরীক্ষা করিবার জন্য মায়৷ দ্বারা ব্যাধবেশ ধারণ করিয়া স্থায় আগমনপূর্বক রাজাকে বলিলেন । ১৩ । হে রাজন ! বন্থ অন্বেষণের পর মামার ভক্ষণীয় এই পারাবতটি পাইয়াছি, আপনি ইহাকে ত্যাগ করুন । ইহাই আমাদের স্বাভাবিক বৃত্তি । এ বৃত্তি কেহই নিবারণ করিতে পারে না এবং ইহা অামাদের অযাচিত বৃত্তি । ১৪ । হে পৃথিবীশ্বর ! আমি এই স্বভাবসিদ্ধ ভোজন ত্যাগ করিলে বঁচিব না । ভোজন না করিলে কাহারই প্রাণ থাকে না । ১৫ । এখন ভোজনাভাবে আমি জীবন ত্যাগ করিলে সপুত্র মদীয় গৃহিণীও আশাভঙ্গ হওয়ায় প্রাণত্যাগ করবে। ১৬ । এক জনকে রক্ষা করিবার জন্য যে ব্যক্তি বহু জনের প্রাণনাশ করে এবং যেখানে ইহা ধৰ্ম্ম বলিয়া গণ্য হয়, সেখানে অধৰ্ম্ম কিরূপ, জানি না । ১৭ ।