পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৫২১ ! প্রার্থনা করায় অত্যন্ত নির্লজ্জত প্রকাশ হইযাছে। কি করি, বহু দিন হইতেই আমার হৃদয়ে তোমার সঙ্গমাশী উদিত হইয়াছে। তুমি এখন আমার প্রতি প্রসন্ন হও । • ০ । হার-শোভিত স্ত্রীগণের স্তনদ্বয় এবং রসনাযুক্ত নিতম্বস্থল নখোল্লেখ-রহিত হইলে উহার সৌন্দৰ্য্যভিমান থাকে না । ৩১ । স্ত্রীগণের চিত্ত স্বভাবতঃ নূতন বস্তুর অভিলাষী এবং কুতুহলময় হয় এবং উহাদের নয়নও স্বভাবতঃ লাবণ্যলুব্ধ হইয় থাকে। ৩২ ৷ কম্পিতাঙ্গা তিয্যরক্ষা এই কথা বলিয়। দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগদ্বারা অধরপল্লবের কান্তি স্নান করিয়া এবং স্বেদজলবিন্দুদ্ধার তিলক ধেীত করিয়া স্পষ্টভাবে কামভাব প্রকাশ করিল ; ৩৩ ৷ o কুণাল, তপ্ত সূচীসদৃশ কর্ণ-বিদারণকাবা বিমাতার এইরূপ বিরুদ্ধ বাদ্য শ্রবণ করিয়া অবনতমস্তকে ভূমিতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিলেন। বোধ হইল যেন, নিজ চক্ষুঃসংলগ্ন পাপ তিনি ভূমিতে প্রক্ষেপ করিলেন।৩৪। তিনি বিষাদ ও লজ্জায় বিশুদ্ধবদন হইলেন এবং বিমাতার মুখ চন্দ্রসদৃশ হইলেও পাপমলে মলিন হওয়ায় তিনি উহা দেখিতে পারি লেন না । ৩৫ ৷ মহাপাপের কথা শ্রবণ করিয়া তাহার কর্ণদ্বয কম্পিত হইল । এজন্য কুণ্ডলদ্বয় আন্দোলিত হওয়ার কুণ্ডলস্থ বত্বের কাস্তিও বিক্ষিপ্ত হইয়া গেল। তাহাতে বোধ হতল যেন, তাহাপ কর্ণদ্বয় পাপশুদ্ধির জন্য রত্নকান্তিরূপ বহ্নিশিখামধ্যে প্রবেশ করিল । ১৬ । কুণাল হস্তদ্বারা কণযুগল আচ্ছাদিত করিয়া দন্তকান্তি দ্বারা ধবলিত বাক্য উচ্চারণ করিলেন । গঙ্গাপ্রবাহসদৃশ তদীয় দন্তকান্তি যেন তাহার অঙ্গলগ্ন বিমাতার আলিঙ্গনদোষ ক্ষালন করিয়া দিল ॥৩৭ কুণাল বলিলেন,—ম ! তোমার এ কথা বলা উচিত নহে। সৎপথে গমন কর, বাক্য সংযত কর । তুমি এইমাত্র শীল ত্যাগ