পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ४२७ | ধৰ্ম্মোপদেশই প্রধান চিকিৎসা এবং তাঁহাই আত্মীয় জনের প্রণয়ের লক্ষণ । ৬৯ ৷ এই দেহ এখন বিনাশোন্মুখ হইয়াছে। ভোগ্য বস্তু-সকল এখন শল্যবৎ বোধ হইতেছে । অন্ধ জনের লাবণ্যবতী কান্ত যেরূপ ভোগবর্জিত হয়, তদ্রুপ ভোগবর্জিত এই রাজসম্পৎ আমার পক্ষে এখন প্রবল শাপবৎ বোধ হইতেছে । ৭০ { আমি অত্যন্ত মন্দাগ্নি হইয়াও প্রবৃদ্ধ শোকানলে দগ্ধ হইতেছি । শরীরের জড়তা অত্যধিক রহিয়াছে, কিন্তু তৃষ্ণাও অত্যন্ত বাড়িয়াছে। দীর্ঘকাল রোগ ভোগ করা অপেক্ষ মৃতু্যই সুখকর বোধ হইতেছে।৭১। অন্তর্বর্বত্তী প্রচ্ছন্ন পাপ, কলহানুবন্ধী নীচ জনের অবমাননা এবং দীর্ঘকালস্থায়ী নিন্দিত ব্যাধি, এই তিনটিই প্রদীপ্ত অগ্নিতাপে উপশান্ত হয়। অন্য কোন প্রতীকার নাই । ৭২ ৷ দরিদ্র লোকদিগের রোগ-কষ্ট না থাকিলেও দরিদ্র্য-কষ্ট সদাই আছে এবং ধনবানদিগের দারিদ্র্য-ক্লেশ না থাকিলেও সর্ণবদা রোগਬਾਹ ক্লেশ থাকে । এই দুইটি ক্লেশই দুই জাতীয় লোকের কুকৰ্ম্মের বিচিত্ররূপ পরিণামের ফল । ইহা অত্যন্ত কষ্টকর । ৭৩ ৷ মনুষ্যজন্মে যদি বিচার-বুদ্ধি না থাকে, তাহ হইলে সে জন্মই বৃথা । শাস্ত্রজ্ঞানদ্বারা যদি বুদ্ধিকে অলঙ্কত করা না হয়, তাহা হইলে সে বুদ্ধিকে ধিক ! যে ব্যক্তি বিস্তর শাস্ত্র পাঠ করিয়া ও দৈন্যভাব ত্যাগ করিতে পারে না, তাহার সে শাস্ত্রপাঠ বৃথা । যে ব্যক্তি নীরোগ হইয়া সম্পৎ ভোগ করিতে সমর্থ হয় না, তাহার সে সম্পদও বৃথা । ৭৪ ৷ প্রজাগণপ্রিয় রাজকুমার তক্ষশিলা-জয়কাৰ্য্যে নিযুক্ত হইয়া তথায় গিয়াছে ; তাহাকে সত্বর আনয়ন কর। আমি অদ্যই সেই নিৰ্ম্মলস্বভাব ও সচ্চরিত্র রাজকুমারকে রাজ্যাভিষিক্ত দেখিতে চাই । ৭৫ ৷ আমি স্বেচ্ছায় কুমারকে রাজচ্ছত্র ও মুকুট প্রদান করিলে পুর