পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ご> এখন আমি অন্ধ হইয়াছি। আমি বিজনে গমন করি। তুমি ক্লেশ সহ করিতে পার না, তুমি বন্ধুজন-গৃহ আশ্রয় কর । শোক করিও না। সৌভাগ্য ভোগের বিয়োগই সার। সংসারের ইহাই স্বভাব | ১০৩ ৷ কুণাল এই কথা বলিলে বিয়োগভীতা জায়া কম্পিতাঙ্গী হইয়৷ তাহকে বলিলেন। তখন তাহার কজ্জলযুক্ত চক্ষুর জল কুচদ্বয়ে নিপতিত হওয়ায় যেন তিনি নিজ চিত্ত দুঃখের নিকট বিক্রীত বলিয়া লিখিলেন । ১০৪ ৷ হে আৰ্য্যপুত্ৰ ! আমি তোমায় ত্যাগ করিব না । ইহা অঙ্গনগণের কুলোচিত নিয়ম নহে। পতি নারীর বিভূষণ। আপৎকালে পতি বিরূপ হইলে তাহাকে ত্যাগ করা যায় না । ১০৫ ৷ বেশ্বাগণও ধনবানদিগের প্রীতির জন্য যত্নপূর্বক সতীব্রত দেখাইয়া গীকে । বিপদাপন্ন প্রাণী যেরূপ মহাপুরুষের অধিক প্রিয় হয়, তদ্রুপ বিপন্ন পতিও স তীর অধিক প্রিয় হয়। ১০৬। পুরুষ নয়নহীন হইলে জায়াই তাহার প্রকট যষ্টিস্বরূপ । বিপক্তাপে ও পরিশ্রমে জীয়া ছায়াস্বরূপ হয় । বিষম দশায় পদচু্যত পুরুষগণের পক্ষে জায়ার তুল্য অন্য সহায় নাই । ১০৭ ৷ কুণালপত্নী পাদপতিত হইয়। এইরূপ প্রার্থনা করায় রাজকুমার কুণাল জীর্ণ বস্ত্র মাত্র পরিধান করিয়! ধৈৰ্য্যসহ পত্নীর সহিত ধীরে ধীরে গমন করিলেন । ১০৮ । বীণাপাদনপটু ও সুগায়ক কুণাল পথে যাইতে যাইতেই জীবিকাবৃত্তি প্রাপ্ত হইলেন । কলাবিদ্যার তুল্য মনুষ্যগণের অন্য বিদ্যা নাই । ইহা বিপৎকালে পণ্যস্বরূপ এবং বিভবাবস্থায় বিলাসস্বরূপ ?? | > es 」 মদমত্ত ভ্রমব-পংক্তির ধ্বনি সদৃশ শ্রবণসুখকর বীণাস্বন দ্বারা