পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s - s ] রাজা দণ্ড ও মুদ্রগরের সহিত নিধনপ্রাপ্ত হইলে পর চাত্যায়ন ঐ মন্ত্রিপুত্রকে গ্রহণ করিয়া আকাশমার্গে চলিয়া গেলেন। ১৭২ ৷ পুরদেবতাও প্রতিসহকারে তাঁহারই অনুগমন করিলেন এবং তাহার আজ্ঞানুসারে একটি ক্ষুদ্র গ্রামে অবস্থিতি করিলেন । ১৭৩। ভিক্ষুর পুণ্যপ্রভাবে ও মন্ত্রিপুত্রের ভাগ্যবলে এবং পুরদেবতার অধিষ্ঠানবশতঃ উহা একটি সমৃদ্ধিশালী নগরে পরিণত হইল। ১৭৪ ৷ অনন্তর ঐ পুরদেবতা তথায় আর্য্য কাত্যায়নের নিমিত্ত একটি চৈত্য নিৰ্ম্মাণ করিলেন । এখনও চৈত্যবন্দকগণ সুরবতী নগরীতে ঐ চৈত্যের বন্দনা করিয়া থাকে। ১৭৫ ৷ তৎপরে কাত্যায়ন স্বীয় চীবর-কোণে মন্ত্রিপুত্রকে গ্রহণ করিয়া আকাশমার্গে লম্বননামক একটি দেশে গমন করিলেন । ১৭৬ ৷ কাত্যায়ন যখন তথায় লম্বভালে আকাশ হইতে অবতীর্ণ হন, তখন তত্ৰত্য জনগণ “ইনি কে লম্বভাবে নামিতেছেন”, এই কথা বলায় উহারা লম্বন নামে খ্যাত হইল । ১৭৭ ৷ সেই সময়ে তথাকার রাজা অপুত্রক অবস্তায় মরিয়া যান । তখন লক্ষণজ্ঞ লোকের কাত্যায়নের আজ্ঞানুসারে ঐ মন্ত্রিপুত্র শ্যামককে রাজা করিল। ১৭৮। তৎপরে কাত্যায়ন ভোক্কানক গ্রামে গিয়া তথায় স্বজননীর সম্মুখে বিশুদ্ধ ধৰ্ম্মদেশনা করিলেন । ১৭৯ ৷ কাত্যায়ন-মাতা তাহাতে সত্য দর্শন করিয়া আদরসহকারে পুত্রের যষ্টি গ্রহণ করিয়া একটি চৈত্য নিৰ্ম্মাণ করিলেন। এখনও ঐ যঃিচৈত্য লোকে বন্দনা করে । ১৮০ ৷ অতঃপর কাত্যায়ন ধীরে ধীরে উৎকণ্ঠার সহিত শ্রাবস্তী নগরীতে গমন করিয়া তথায় ভগবান জিনকে দর্শন করিয়া ভঁাতার পাদবন্দন৷ করিলেন । ১৮১ ।