পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s? • J করুণাসাগর পণ্ডিত সমগ্র কৃপণজনকে অন্বেষণ করিয়া তাহাদিগকে দারিদ্র্যরূপ অন্ধকারের নাশক রত্বরাশি দান করি লেন । ২৬ | তিনি কৃপণদিগকে যে সকল রত্ন দান করিলেন, তৎসমুদয়ই অঙ্গাররাশি হইয়া গেল । মনুষ্যগণের ভাগ্যই রত্ব, প্রস্তৱজাতীয় মণি রত্ন নহে। ২৭ । তখন কৃপণগণ র্তাহার নিকট আসিয়া বলিল যে, আপনি আমাদিগকে ধন বলিয়া অঙ্গাররাশি দিয়াছেন। বোধ করি, আমরা স্বপ্নে ধনরাশি দেখিয়া থাকিব । ২৮। লোক সহস। ধনলাভ দ্বারা উন্নতি লাভ করে, কিন্তু ঐ ধনের বিনাশ হইলে অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া প্রাণত্যাগ করে । ২৯ । করুণানিধি পণ্ডিত তাহাদিগের এই কথা শ্রবণ করিয়া বলিলেন যে, পূণ্যহীন জনে প্রদত্ত রত্বের রত্নত্ব থাকে না । ৩০ । তোমরা মোহবশত: পূর্বে পুণ্য সঞ্চয় কর নাই, সেজন্য তোমাদের রত্বরাশি অঙ্গাররাশিতে পরিণত হইয়াছে । ৩১ । লোকের পুণ্যক্ষয় হইলে সযত্নে রক্ষিত রত্নও বিনষ্ট হয় । ভাগ্যযোগ থাকিলে রত্ন স্বয়ং উপস্থিত হয় । পতিত জনের ধনাৰ্জ্জন শোকেরই কারণ হয়। ধন পুণ্যচেতা: জনেরই উপযুক্ত জানিবে । ৩২ ৷ অতএব তোমরা ভিক্ষুসঙ্ঘকে ভোজনের জন্য নিমন্ত্রণ কর । আমি তোমাদের জন্য ভোজ্যসস্তার সম্পাদন করিতেছি । ৩৩ ৷ কৃপণগণ পণ্ডিত কর্তৃক এইরূপ কথিত হইয়া পণ্ডিতপ্রদত্ত ভোজ্য সন্তার দ্বারা বুদ্ধপ্রমুখ সঙ্ঘকে একদিন পূজা করিল। ৩৪ ৷ তাহারা যথাবিধি ভিক্ষুসঙ্ঘকে পূজা করিয়া ক্ষণকাল প্রণিধান করিল যে, আমাদের যেন কখনও দারিদ্র্য হয় না । ৩৫ ৷ ●》