পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s১২ ] হইতে ভয় হয়, সেই দেহ নানাবিধ অপায় হইতে সুরক্ষিত হইলেও ক্ষয়প্রাপ্ত হয় । ৪৫ ৷ আমি সুখভোগে বিরক্ত হইয়াছি । আমি আমার প্রিয় প্রত্ৰজ্যাকে গ্রহণ করিয়া চিন্তাতপ্ত চিত্তের ক্লেশহরণপূর্বক বনে বিচরণ করিব ॥৪৬ তিনি এই কথা বলিয়া বিষয়সুখে আসক্তিরূপ বন্ধন পরিত্যাগপূর্ববক পিতার অনুমতি লইয়। শারিপুলের আশ্রমে গমন করিলেন । ৪৭ ৷ - তথায় তিনি শারিপুত্র দ্বাবা প্রত্ৰজ্য গ্রহণ করিয়া ভিক্ষাপাত্র ও কেীপীন গ্রহণপূর্বক তাঁহারই অনুচর হইয়া সংযতভাবে বিচরণ করিতে লাগিলেন । ৪৮ । পণ্ডিত দেখিলেন যে, কৃষকগণ এক ক্ষেত্র হইতে অপর ক্ষেত্রে জল পরিচালিত করিতেছে এবং ঐ জলধারা নির্দিষ্ট পথেই যাইতেছে । ইহা দেখিয়া তিনি ভাবিলেন যে, হায় ! এই অচেতন জলধারারও বিহিত মাগে গমন করায় কাৰ্য্যসিদ্ধি হইতেছে, কিন্তু সচেতন মনুষ্যগণের তাহা হইতেছে না। ৪৯-৫০ । এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে কিছু দূর অগ্রসর হইয়া দেখিলেন যে, ইষুকার উত্তাপ দ্বারা বক্র শরকে সরল করিয়া যঃি নিৰ্ম্মাণ করিতেছে। ধীমান পণ্ডিত ইহা দেখিয়া চিন্তা করিলেন যে, এই অচেতন শরগণ তাপপ্রাপ্ত হইয়া সরল হইতেছে, কিন্তু মনুষ্যগণ সংসারতাপে তপ্ত হইয়াও বক্রতা ত্যাগ করে না । ৫১-৫২ ৷ এই চিন্তা করিয়া আরও অগ্ৰে গিয়া দেখিলেন যে, সূত্ৰধার অতি কঠিন কাষ্ঠ কৰ্ত্তন করিয়া শকটের চক্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিতেছে । তদর্শনে তিনি পুনশ্চ চিন্তা করিলেন যে, অহে ! এই অচেতন কাষ্ঠসকল ঘটনাযোগে কৰ্ম্মক্ষম হইতেছে, কিন্তু মমুষ্যের চিত্ত এরূপ হইতেছে না । ৫৩-৫৪ ৷