পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৪৩৩ ] ধনক্ষয় হইলে মাননীয় ব্যক্তি মাননাশভয়ে বিহবল হয় এবং তাহার পূর্বযশও বিনষ্ট হয় । ৩১ । কৃতজ্ঞ এইরূপ চিন্তা করিয়া ধীরে ধীরে চলিতে লাগিলেন এবং বণিকৃগণ কর্তৃক তাড়িত হইয়া রাজা মতিঘোষের নগর প্রান্তে গেলেন । ৩২ ৷ তথায় তিনি কিছুকাল একটি গোপালের বাটতে অবস্থিতি করিতে লাগিলেন । ক্রমে একদিন রাজপুল্লী উদ্যান-বিহারে আসিয়া তাহাকে দেখিতে পাইলেন। ৩৩ । । রাজপুত্র অন্ধ কৃতজ্ঞকে রাজলক্ষণযুক্ত দেখিয়া পূৰ্ব্বজন্মের প্রেমবন্ধনানুসারে তাহার প্রতি অভিলাষবতী হইলেন। ৩৪ ৷ তৎপরে রাজপুত্ৰী পিতার অাদেশে স্বয়ম্বর সভা আহবান করিয়া মাননীয় রাজগণের মধ্যে সেই অন্ধকেই বরণ করিলেন । ৩৫ ৷ পি তা ক্রুদ্ধ হইয় “তুমি ভূমিপালগণকে পরিত্যাগ করিয়া একটা অন্ধকে বরণ করিয়াছ”, এই বলিয়া তিরস্কার করায় তিনি দুঃখিত হইলেন । ৩৬ । রাজকুমারী অন্ধকে উদ্যানমধ্যে রাখিয়া প্রেম ও প্রণয়োচিত আদর সহকারে যত্বপূর্বক ভোজনন্দ্রব্য আহরণ করিয়া তাহাকে দিতেন । ৩৭। একদা রাজতনয় কৃতজ্ঞ ক্ষুধায় স্নানমুখ হইয়া আহারের সময় উত্তীর্ণ হইলে বিলম্বে সমাগত রাজকুমারীকে বলিলেন । ৩৮। তুমি চপলতাবশতঃ কোন বিচার না করিয়াই বিপুললোচন নৃপগণকে পরিত্যাগ করিয়া এই অন্ধকে বরণ করিয়াছ। ৩৯। নিশ্চয়ই তুমি সেই অনুতাপে আমার প্রতি অল্পাদর হইয়া এখন প্রেমের তাণ্ডব দেখাইতে উদ্যত হইয়াছ । ৪০ ৷ তুমি অন্ধকে দেখিয়া বিরক্ত হইয়াছ এবং স্বরূপ জনকে দেখিতে & (t