পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ste J নবাভিলাষে অবরুদ্ধ হইলেও লজ্জাবশতঃ নিবৰ্ত্তিত রাজকুমারী নিজ মন কুমারের নিকট রাখিয়া শূন্যের ন্যায় ধীরে ধীরে চলিয়া গেলেন । ১৭ ৷ কুমারী রাজধানীতে গিয়া লজ্জা, বিস্ময় ও কামবশতঃ প্রোষিতভর্তৃকার স্যায় যেন মলিন ও কৃশবৎ হইলেন । ১৮ । কুমার হস্তকও কামোস্তব হওয়ায় নিজগৃহে গিয়া অনবরত সেই চন্দ্রমুখীর চিন্তায় কেবল সেই চিত্রই দেখিতে লাগিলেন। ১৯। তিনি কুমারীকে মনোনীত সৰ্ববস্ব ধনের ন্যায় এবং স্মরবিদ্যার স্যায় বিবেচনা করিলেন ; কিন্তু চক্ৰবৰ্ত্তী রাজার কন্যা তাহার পক্ষে দুলভ জ্ঞানে মনে মনে চিন্তা করিলেন । ২০ । যিনি পূৰ্ব্বজন্মে বহু তপস্যা করিয়াছেন,সেই ধন্য লোকই পুণ্যবৃক্ষের লতাসদৃশ এই রাজকুমারীকে লাভ করিবেন। ২১ । উত্তম দান-পুণ্যফলে তাহার দর্শন লাভ হয়। কি পুণ্যফলে র্তাহাকে লাভ করা যায়, তাহা আমি জানি না। ২২ । রাজকুমারীর মুখচন্দ্র-স্মরণ-জনিত আহলাদে এবং তাঁহাকে দুলভ জ্ঞানজন্য বিরহতাপে আমার যে কি অবস্থা হইয়াছে, জানি না। ইহা কি আমার ধৃতি বা মোহ, জীবিতাবস্থা বা মরণাবস্থা, বুঝিতে পারিতেছি না। ২৩ । নিশাপতি রাজকুমারীর মুখপদ্ম-শোভায় নির্জিত হইয়া ক্ষীণতা প্রাপ্ত হন । মন্মথের ধনুঃ তাহার ক্ৰবিলাস-দর্শনে লজ্জিত হইয়া বিনত হইয়৷ থাকেন। পল্লবকান্তি তদীয় অধরের লাবণ্য-দর্শনে দুঃখিত হইয়া বিশ্বফল অধোমুখ হইয়া পৃথিবী নিরীক্ষণ করেন। ২৪। কুমার হস্তক এইরূপ পূর্ণচন্দ্রমুখী রাজকুমারীর মুখ চিন্তা করিয়া সমস্ত রাত্রি জাগ্রত অবস্থায় অতিবাহিত করিতেন। নিদ্রা যেন ঈর্ষাবশতই তাহাকে ত্যাগ করিল। ২৫ ।