পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ○oa ] হস্তীটী নিজ দেহ সঙ্কুচিত করায় সৌম্যমূৰ্ত্তি হইয়াছিল। তাহার মনে চিন্তার উদ্রেক হওয়ায় মুখকান্তি হীনতা প্রাপ্ত হইয়াছিল। মহাব্যয়সাধ্য উৎসবকালে লোভান্ধ ব্যক্তি যেরূপ দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করে তদ্রুপ হস্তীটাও দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করিতেছিল। পরিতাপবশতঃ তাহার গতি স্খলিত হইয়াছিল। তদীয় গণ্ড হইতে মদধারা বিহীন হওয়ায় মধুপগণ কোলাহল করিতেছিল। এবং শুণ্ডটা নিম্নমুখ করায় যেন উহা ভারবৎ বোধ হইতেছিল। ২৮ । কারুণ্যসাগর শাস্তা ভীত ও পাদমূলে সমাগত হস্তীকে চক্র ও স্বস্তিক চিহ্নাঙ্কিত নিজ করদ্বারা স্পর্শ করিয়াছিলেন । ২৯ । ভগবান জিন তদীয় কুম্ভে হস্ত বিন্যস্ত করিয়া তাহাকে বলিয়াছিলেন। পুত্র! তুমি নিজ কৰ্ম্মদোষে এইরূপ দশা প্রাপ্ত হইয়াছ। ৩০ । তোমার এই মাংসময় পৰ্ববতাকার দেহ বিবেকরূপ আলোকের আচ্ছাদক জলদস্বরূপ এবং মোহময় ভারস্বরূপ । ইহা তোমার পাপবশতঃ উপস্থিত হইয়াছে । ৩১ । করুণাময় ভগবান এই কথা বলিলে ভাত গজ আশ্বাসপ্রাপ্ত হইয়া আলানে লীন ও নিশ্চলতা প্রাপ্ত হইয়াছিল। ৩২ ৷ দেবদত্তের সংকল্প ও মহোৎকট গজ উভয়ই ভগ্ন হইলে জনগণ আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়া নির্বিঘ্নে হর্ষ করিতে লাগিল ৷ ৩৩ । তৎপরে ভগবান ভিক্ষুগণসহ গৃহপতির গৃহে ভোজ্য প্রতিগ্রহ করিয়া নিজ বাসস্থান বেণু কাননে যাইতে উদ্যত হইয়াছিলেন। ৩৪ ৷ গজেন্দ্রও জিনের চরণপদ্মের নিকট আগমন করিয়া এবং শুণ্ডদ্বারা তদীয় চরণ স্পর্শ করিয়া হস্তিদেহ ত্যাগ করিয়াছিল। ৩৫ ৷ সেই হস্তী সহসা চতুর্মহারাজিক নামক দেবগণমধ্যে জন্মগ্রহণ করিয়া এবং বিশদকান্তিসম্পন্ন হইয়া ভগবানকে দর্শন করিবার জন্য আসিয়াছিল ।