পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ و ۵۰ ] সে প্রদীপ্ত মণিকুণ্ডলে শোভিত হইয়া নিজাম্রমস্থিত ভগবানের নিকট আগমনপূর্বক সূৰ্য্যসদৃশ প্রভাশালী ভগবানকে প্রণাম করিয়াছিল । ৩৭। তাহার কেয়ূর ও মুকুটের প্রভায় পিঞ্জরিত মেঘরাজি যেন ইন্দ্ৰধনুর্ব্যাপ্তবৎ বিরাজিত হইয়াছিল। ৩৮ ৷ o সে ক্ষীণপাপ হইয়া বিনয়সহকারে শাস্তার সম্মুখে উপবেশন করিয়া এবং সত্ত্বশুভ্ৰ দিব্যপুষ্প বিকীরণ করিয়া তাহাকে বলিয়াছিল । ৩৯ ৷ ভগবন্‌ ! আপনার পাদপদ্মস্পর্শে আমার দুর্দশ, দুঃখ ও সন্তাপ দূর হইয়াছে, এখন আমি সন্তোষশালী হইয়াছি। ৪০। ভগবন! আপনার সুধাবৰ্মণকারিণী ও স্নিগ্ধমধুরা দৃষ্টি শাস্তিগুণে শ্লাঘ্য ও বিপদরুপ বিষদোষের প্রশমনকারিণী। আপনার দৃষ্টিস্পর্শে পশুও প্রখর বিকারসমূহ পরিত্যাগ করিয়া এবং মোহহীন হইয়া অন্তরে শান্তি অনুভব করে । ৪১ ৷ সে এই কথা বলিলে ভগবান তাহার ভবশান্তির জন্য সত্যদর্শনদ্বারা সংশুদ্ধ ধৰ্ম্মদেশনা অর্থাৎ ধৰ্ম্মোপদেশ বিধান করিয়া ছিলেন। ৪২ ৷ - সে নিজ মুকুটস্থিত মুক্তানিকরের কিরণে শুভ্রবর্ণ মস্তকদ্বারা যেন সংসারভ্রমণকে উপহাস করিয়া শাস্তার চরণপ্রান্তে প্রণামার্থে উপস্থিত হইয়াছিল । ৪৩ ৷ অতঃপর সে মুখচন্দ্রের আলোকে নভস্তল আলোকিত করিয়া নিজস্থানে চলিয়া গেল। ভগবান ভিক্ষুগণ কর্তৃক জিজ্ঞাসিত হইয়া তাহার পূর্ব বৃত্তান্ত বলিয়াছিলেন। ৪৪। এই ব্যক্তি পূর্ববকল্পে কাশ্যপ নামক শাস্তার শাসনে প্রব্রজিত হইয়াও শিক্ষাপদে হতাদর হইয়াছিল। ৪৫ ৷