পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७२¢ ] কৃতন্ত্রের উপকার করা, কুটিলকে বিশ্বাস করা এবং মূর্থকে উপদেশ করা কেবল কৰ্ত্তারই দোষের হেতু হইয়া থাকে। ৩৯ ৷ কাক এই কথা বলিলে এবং রাজা নিকটবৰ্ত্তী হইলে, যুগপতি মৃগ তখন নিজ দলের হিতের জন্য এইরূপ চিন্তা করিল। ৪০ । । এই সুযোদ্ধ সেনাগণ যদি বনমধ্যে প্রবেশ করে, তাহা হইলে, আমার নিমিত্তই মুহূৰ্ত্তমধ্যেই বনস্থল মৃগগৃষ্ঠা করিবে ; অতএব আমি স্বয়ং সেনাপতির নিকটে যাই । একলা আমারই বধ হউক এবং এই সকল মৃগগণ জীবিত থাকুক্‌ ৷ ৪১-৪২ । মৃগ এইরূপ নিশ্চয় করিয়া রাজার নিকট গেল। পরের প্রাণরক্ষা করিবার জন্য মহাত্মগণ নিজ প্রাণকে তৃণজ্ঞান করেন । ৪৩ ৷ কুটিলক সম্মুখে মৃগকে দ্রুতবেগে আসিতে দেখিয়া দূর হইতেই হস্তদ্বয়দ্বারা রাজাকে দেখাইয়া দিল এবং বলিল, এই সেই 히 || 88 | সেই সময় কাকের বঞ্জসদৃশ শাপে বিষবৃক্ষের পল্লবদ্বয়সদৃশ কুটিলকের হস্তদ্বয় সহসা খসিয়া পড়িল । ৯৫ ৷ রাজা মৃগকথিত কুটিলকের বৃত্তান্ত শ্রবণ করিয়া কৃতঘ্নচরিত্রে ধিক্কার করিতে লাগিলেন । ৪৬ ৷ তৎপরে রাজা প্রতিপূর্বক পরমগৌরবে ও মহাসমারোহে মৃগকে নিজ নগরীতে লইয়া গিয়া এবং তাহাকে রত্নাসন প্রদানপূর্বক তৎসম্মুখে অন্তঃপুরিকাগণ ও অমাতাগণসহ উপবেশন করিলেন । ৪৭-৪৮ । তখন দিবাবুদ্ধি বোধিসত্ত্ব হরিণ সেই সভায় ধৰ্ম্ম উপদেশ করিলেন এবং সেই উপদেশে জনগণ শিক্ষা প্রাপ্ত হইল । ৪৯ । আমিই পুরাকালে সেই সুবর্ণপাশ্বনামক মৃগ ছিলাম এবং সেই ক্ররাচার কুটিলকই এখন দেবদত্ত হইয়াছে । ৫৭ ৷ o ভবভয়নাশক ভগবানকর্তৃক কথিত, প্রশমময় ও কুশলপ্রদ এই