পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৪১ ] পরে মোঁদগল্যায়ন তাহাদিগকে মৃদুভারে আকর্ষণ করিলেন, কিন্তু তাহারা যখন জাগরিত হইল না, তখন তিনি মহানাগদেহ গ্রহণ করিয়া উহাদিগকে বেষ্টন করিলেন । ১০ । তখন নাগদ্বয় জাগরিত হইয়া ভাষণাকৃতি নাগরূপধারী মোঁদগল্যায়নকে দেখিয়া নররূপ ধারণ করিয়া পলায়ন করিতে লাগিল এবং কিয়দ্র গিয়া ভয়-বিহবলভাবে অবস্থান করিল। ১১। তখন মোঁদগলায়ন ও নাগরূপ পরিত্যাগপূর্বক নিজরূপ ধারণ করিয়া পলায়মান নাগদ্বয়কে বলিলেন । ১২ । হে নাগদ্বয় ! তোমর কোথায় যাইতেছ ? ভয় ত্যাগ কর । যে ভীষণাকার নাগকৰ্ত্তক তোমরা তাড়িত হইয়াছ, সে আর এখানে নাই । ১৩ । যদি সেই মহানাগের ভয়ে তোমাদের অস্থির হইতে হয়, তাহা হইলে শরণাগতপালক ভগবান বুদ্ধের বন্দন কর না কেন ? ১৪ । নাগদ্বয় মোদৃগল্যায়নের এই কথা শ্রবণ করিয়া বিনয় সহকারে তাঙ্গাকে বলিল, আন্য ! আপনি অনুগ্রহপূদনক ভগবানের দর্শন করাইয়া দিন । ১৫ । নাগদ্বয় এই কথা বলিলে, তিনি তাহাদিগকে ভগবানের নিকট লইয়া গিয়া প্রণামপূর্বক তাহদের বৃত্তান্ত নিবেদন করিয়া উপবেশন করিলেন । ১৬ । অতঃপর ভগবান শরণাগত নাগদ্বয়কে উপদেশ দিলেন। তাহারাও ফণামণিদ্বারা ভূতল আলোকিত করিয়া প্রণাম করিল। ১৭ । তোমরা শিক্ষাপদ পাইয়া সর্ববভূতে অভয় প্রদান করিয়াছ। আমার শরণাগত হওয়ায় এখন আর তোমাদের ভয় নাই । ১৮ । এইরূপে ভগবানের দর্শনমাত্রেই নাগদ্বয় হিংসাদ্বেষ-বর্জিত হইয়া তাহাকে প্রণাম করিয়া নিজস্থানে গমন করিল। ১৯ ।