পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 ه بs | কিন্তু সেই লুব্ধক নির্বিকার, নিরুদ্বেগ, ভয়হীন এবং প্রহারের অনুমোদক পূর্ণকে দেখিয়াই শান্তিভাব অবলম্বন করিল। ৪৬ ৷ তখন প্রসাদগুণসম্পন্ন পূর্ণ সহসা শান্তিপ্রাপ্ত ঐ লুব্ধককে ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিলেন । তাহাদ্বার অনুচরসহ লুব্ধক পরিণামে বোধিপ্রাপ্ত হইল। ৪৭ ৷ ক্রমে পূর্ণ তথায় স্বগতজনোচিত সর্বপ্রকার দ্রব্যে পরিপূর্ণ রমণীয় পঞ্চশত বিহার নিৰ্ম্মাণ করাইলেন । ৪৮ । জ্ঞানপূর্ণ পূর্ণ তথায় দেবগণের পূজনায় হইয়া উঠিলেন এবং মুনিগণের স্পৃহণীয় বৈরাগ্যসম্পৎদ্বারা শোভিত হইলেন । ৪৯ । এ দিকে পূর্ণের অগ্রজ ভাবিল কালক্রমে ধনহীন হইয়া ধনাশাবশতঃ পুনর্বার সমুদ্র-গমন করিলেন । ৫০ । তিনি প্রবহণে আরোহণ করিয়া অনুকূল বায়ুবশ তঃ অল্পদিনমধ্যেই গোশীর্ষচন্দনবনে উপস্থিত হইলেন । ৫১ ৷ তথায় পঞ্চশত কুঠারিকগণ সেই ভুজঙ্গগণব্যাপ্ত দিবা চন্দন-বন ছেদন করিতে উদ্যত হুইলে, সেই বনের অধিপতি মক্ষসেনাপতি মহেশ্বর ক্রোধ করিয়া কালিকনামক মহাবায়ু ছাড়িয়া দিলেন। ৫২-৫৩ । সেই মহাবায়ুদ্বারা বণিকৃগণ সকলেই প্রাণসংশয় প্রাপ্ত হইয়। শিব ও ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণকে আহবানপূর্বক ক্ৰন্দন করিতে লাগিল । ৫৪। তখন সেই দলের নায়ক ভবিল অনুতাপসহকারে বক্তক্ষণ চিন্ত৷ করিয়া আৰ্ত্তরবকারী বণিকৃগণকে বলিলেন । ৫৫ ৷ আমার পরমহিতৈষী কনিষ্ঠ ভ্রাতা পূর্ণ পূর্বে আমাকে বলিয়াছিল যে, সমুদ্রগমনে বহুতর ক্লেশ ; সুখ অতি অল্প । অতএব তথায় যাওয়া উচিত নন্সে । ৬। ধীমান ও সত্যদশা পূর্ণের বাক্য না শুনিয়া আমি ধনলোভে এই ঘোর ৰিপৎসাগরে পতিত হইয়াছি । ৫৭ ৷