পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७१० ] শ্রান্ত ও ব্যজনের বায়ুদ্বারা উচ্ছ,সময়, অতএব ইহা স্থখকর নহে, ইহা নিশ্চিত । ৫৭ ৷ হে তাত ! আমাকে অনুমতি দান করুন। আমি তপোবনে যাইতেছি । সমস্ত পদার্থই অনিত্য বলিয়া জানিবেন । ৫৮ ৷ মনীষী মহীপতি পুত্রের এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহা যথার্থ বলিয়া বুঝিলেন এবং আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয় তাহাকে বলিলেন । ৫৯। হে পুত্র! তুমি যদি বিবেকবিমল বনভূমি ইচ্ছা কর, তাহা হইলে অগ্রে আমার সংশয় দূর করিয়া পরে যাহা কৰ্ত্তব্য হয় করিবে । ৬০ ৷ যখন তুমি বধ্যভূমিতে যাইতেছিলে, তখন বক্রভাবে কথা কহিয়া ছিলে, তাহার কি অভিপ্রায়, তাহা তত্ত্বতঃ আমাকে বল। ৬১ ৷ কুমার রাজা কর্তৃক এইরূপ জিজ্ঞাসিত হইয়া বলিলেন যে, আমি বলিয়াছিলাম যে, এখানে এমন কোন লোক নাই যে, আপনাকে আমার বধ হইতে নিবৃত্ত করে। ৬২। মুকৃতী ব্যক্তি মৃত হইয়াও জীবিত থাকে, পাপী ব্যক্তি না মরিয়াও মৃত হয়। ধনিগণ ধান্তরাশির স্থায় পূর্ববসঞ্চিত পুণ্যই মূল হইতে ভোগ করে। এই আশয়ে আমি তখন সেই কথা বলিয়াছি । ৬৩ ৷ রাজা এই কথা শুনিয়া আদর সহকারে তাহাকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন,–হে পুত্ৰ ! তুমি কুশল লাভের জন্য যাহা সমুচিত বোধ কর, তাহাই কর । ৬৪ । তৎপরে তিনি সজলনয়ন পিতা কর্তৃক অনুজ্ঞাত হইয়া পঞ্চশত মন্ত্রিপুত্রের সহিত তপোবনে গমন করিলেন। ৬৫ ৷ তথায় তিনি অমুচরগণ সহ মহৰ্ষির নিকট প্রত্ৰজ্যা গ্রহণ করিয়া কিছুকাল পরে দেখিলেন যে, মন্ত্রিপুত্ৰগণ কুণ্ড ও বল্কল প্রভৃতি প্রচুর ংগ্ৰহ করিয়াছেন। ৬৬ ৷ তৎপরে সঞ্চয়বিদ্বেষী কুমার তাহাদের সহিত দেখা করিবেন