পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७१४ ] হে রাজন। আমরা সদগুরুর সেবা করিয়া পণ্ডিতগণের বিজয়কারী কিছু বিদ্যার অংশ প্রাপ্ত হইয়াছি। পণ্ডিতরূপ কমলমণ্ডিত এই সভায় আমাদের শিক্ষিত বিদ্যার কিছু পরিচয় দিয়া তাহার উৎকর্ষ দেখাইব । ৩০ । নিজের গুণকীৰ্ত্তনে সজ্জনের বুদ্ধি লজ্জিত হয়। তথাপি প্রৌঢ়ভাবে তর্কযুদ্ধ করিতে অভিলাষ হওয়ায় এরূপ বলিতেছি। হে রাজন! এই পৃথিবীমধ্যে যদি কেহ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পণ্ডিত থাকেন, তাহা আপনি অন্বেষণ করিয়া দেখুন। ৩১ । রাজা বাদিসিংহের এইরূপ গুরুগম্ভীর ও উৎকট সন্দর্ভময় বাক্য শ্রবণ করিয়া লজ্জিত হইলেন এবং তখনই মনে মনে চিন্তা করিলেন । ৩২ ৷ ইনি যদি প্রতিদ্বন্দ্বী না পাইয়া গর্বের্ব উদ্ধতভাবে চলিয়া যান, তাহা হইলে ইহা আমার রাজ্যের যশোনাশের ডিণ্ডিমস্বরূপ হইবে । ৩৩ ৷ যেখানে রাজা মুর্থ ও গুণের অপমানকারী হয়, লোকে তথায় বিদ্যার্জনের পরিশ্রম করে না । ৩৪ ৷ রাজা বিবেক দ্বারা বিমল জ্ঞানসম্পন্ন ও ধৰ্ম্মপরায়ণ হইলে লোকমধ্যে সদাচারের ন্যায় বিদ্যা প্রবর্তিত হয় । ৩৫ ৷ অতএব প্রযত্ন সহকারে ইহার গর্বের্বর নিগ্ৰহ করা উচিত। দেশমধ্যে বিদ্যার অভাব রাজারই দোষে হয় । ৩৬ । রাজা এইরূপ চিন্তা করিয়া নগরোপান্তগ্রামবাসী পণ্ডিতশ্রেষ্ঠ একটি ব্রাহ্মণকে অমাত্যগণ দ্বারা আনয়ন করিলেন । ৩৭। উপাধ্যায় রাজসভায় আসিয়া তর্ককর্কশ বাদিসিংহের দপর্যুপ কেশরের কৰ্ত্তন করিলেন । ৩৮ । অশেষবাদিবিজয়ী বাদিসিংহ উপাধ্যায় কর্তৃক বিজিত হইলে সরস্বতী যেন লজ্জিত হইয়া মৌনভাব গ্রহণ করিলেন । ৩৯ ৷