পাতা:বোধোদয়.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ইন্দ্রিয়।


ইন্দ্রিয় জ্ঞানের দ্বার স্বরূপ; অর্থাৎ ইন্দ্রিয় দ্বারা সর্ব্বপ্রকার জ্ঞান জন্মে। ইন্দ্রিয় না থাকিলে আমরা কোন বিষয়ে কিছু মাত্র জানিতে পরিতাম না। মনুষ্যের পাঁচ ইন্দ্রিয়। সেই পাঁচ ইন্দ্রিয় এই; চক্ষু, কর্ণ, নাসিক, জিহ্বা, ত্বক্। চক্ষু দ্বারা যে জ্ঞান জন্মে তাহাকে দর্শন কহে; কর্ণ দ্বারা যে জ্ঞান জন্মে তাহাকে শ্রবণ; নাসিকা দ্বারা যে জ্ঞান জন্মে তাহাকে ঘ্রাণ; জিহ্বা দ্বারা হে জ্ঞান জন্মে তাহাকে আস্বাদন; ত্বক্ দ্বারা যে জ্ঞান জন্মে তাহাকে স্পর্শ কহে।

 চক্ষু দর্শনেন্দ্রিয়। চক্ষু দ্বারা সকল বস্তু দর্শন করা যায়। চক্ষু না থাকিলে, কোন্ বস্তুর কেমন আকার, কোন্ বস্তু শাদা, কোন্ বস্তু কাল, কিছুই জানিতে পারিতাম না। যে স্থানে আলো থাকে সেই থানেই চোখে দেখা যায়; যে স্থানে গাঢ় অন্ধকার, কিছুই আলো নাই, সেখানে কিছুই দেখা যায় না। রাত্রিকালে