পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

何 ক্ষু-কাহিনী doy লোকের মধ্যে প্রচলিত। গুজরাত ও সিন্ধুদেশ বাজারী-প্রধান দেশ-আমি এক্ষণে যে প্রদেশে বাস করিতেছি (সোলাপুর ও বীজাপুর) সেখানে জওয়ারীই শ্রমজীবি জনগণের আহর । তবে ইহা স্বীকার করিতে হইবে যে ভাত সকল স্থানেই উপদেয়, ধনী ও উচ্চ জাতীয় লোকদের ভাত ও বরণ (ডাল) ভিন্ন চলে না। অথচ এই সকল হিন্দুদের আহার প্রণালী ঠিক আমাদের সঙ্গে মেলে না । আমাদের যেমন তিক্তি \O আরম্ভ করিয়া “মধুরেণ সমাপয়েৎ? একটা খাবার নিয়ম, এখানে সেরূপ দেখা যায় না । মিষ্ট বাল কি লোন্ত যখন যাতে অভিরুচি,-তাহা গ্রহণের কোন নিয়ম নাই। মনে কর লুচী ক্ষীর হইতে আরম্ভ করিলে, পরে ঝাল তরকারী চাটনির সোপান হইতে ডাল ভাতে গিয়া পড়িলে, আবার হয়ত স্বাদ বদলাইবার জন্য মিষ্টান্নোর পুনঃ প্ৰবেশ। মিষ্টে অরুচি হইলে টক ঝাল— বালে অরুচি হইলে আবার মিষ্ট; ঝালের মুখ মিষ্ট করিয়া আবার লোন্তায় আসিয়া উপস্থিত । কোন মহারাট্ট কিম্বা গুজরাতী-হিন্দুর বাড়ী নিমন্ত্রণ হইলে কখন কোনটা খাইতে হয়—কোথা হইতে আরম্ভ, কোথায় গিয়া শেষ কিছুই ভাবিয়া পাই না—মহা বিপদ! খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে তরকারী অনেক থাকে তাহ বাল প্ৰধান-মসলার মধ্যে হিঙ্গের গন্ধ আর সব ছাড়াইয়া উঠে—মিষ্টান্নে জাফরাণ। নানা রকম চাটনীবিকট মসলার তরী তরকারী-আম্বলের জায়গায় ‘কড়ি’, সে এক প্রকার মসলাওয়াল টক দধির ঝোল, আর ‘শ্ৰীখণ্ড’ যাহা SVO