পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

निकू-कोश्निौ। నన পাতের প্রসাদ পায়। পারসী পরিবারেও স্বতন্ত্ৰ আহারের নিয়ম, কিন্তু এক্ষণে অনেক কৃতবিদ্যা ১ পারসী মহিলাদের সঙ্গে একত্ৰে বসিয়া আহার করেন-ইহা উন্নতির লক্ষণ বলিতে হইবে। পরিবার মধ্যে স্ত্রী পুরুষ পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকিবার নিয়ম অস্বাভাবিক ও নিন্দনীয়-তাহদের মধ্যে যতই প্ৰণয় ও সদ্ভাবে মেলা মেশা হয় ততই ভাল । আহারের পর পরিচ্ছদের বিষয় কিছু বলা যাইতে পারে। এদেশীয়দের আমাদের সঙ্গে যে যে বিষয়ে পরিচ্ছদের অমিল তাহা এই। প্ৰথম মেয়েদের কাপড়। মহারাটী স্ত্রীগণ কোনরূপ শিরোবেষ্টন ব্যবহার করে না-খোলা মাথায় চক্রাকার খোপা, তার উপর ফুলের মালা ও স্বৰ্ণাভরণ । নাকে মুক্তাগুচ্ছ নথ। মহারাড়ী মেয়েদের সাড়ী পরিবার ধরণ একটু আলাদা, সাড়ী তার উপর আবার মাল-কোচা । সামনের দিকটা দেখিতে মন্দ দেখায় না। কিন্তু পিছনে মালকোচার বঁাধন স্পষ্ট ধরা পড়ে। মেয়েদের উপর এ পুরুষবেশ আমাদের চক্ষে অদ্ভুত ঠেকিতে পারে, কিন্তু কাপড়ের দোষ গুণ অনেকটা অভ্যাসের উপর নির্ভর । এক কাল ছিল যখন মহারাটা বীরাঙ্গনাদের অশ্বারোহণে সৈন্য সহ এক স্থান হইতে স্থানান্তরে উপযুক্ত বেশ। এখানকার স্ত্রীলোকদের অঙ্গাবরণ আমার বেশ পসন্দা হয়-এদেশে তাহাকে “চোলী” বলে আমরা তাহাকে কঁচুলি বলি। কি মহারাটা কি গুজরাতী, মেয়েরা সবাই এই