পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু-কাহিনী। ছন্দু সমাজশৃঙ্খলার মূলে জাতিভেদ ও হিন্দুধৰ্ম্মের শিরে শিরে পৌত্তলিকতা । সংস্কারকর্তাগণ কাল বিশেষে ও অবস্থা বিশেষে কেহ জাতিভেদ প্ৰথা কেহ বা পৌত্তলিকতা এই দুই ভিত্তির উপর সাধ্যানুসারে অস্ত্ৰাঘাত করিয়া আসিতেছেন। সমাজসংস্কারের প্রতি যাহাদের একান্ত লক্ষ্য র্তাহারা জাতিভেদ উন্মলন করিতে ব্যগ্ৰ—ধৰ্ম্মসংস্কার র্যাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য র্তাহারা পৌত্তলিকতার উচ্ছেদ সাধনে যত্নবান। পৌত্তলিকতার উচ্ছেদ সাধন মানসে মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় বঙ্গদেশে সনাতন বেদবেদান্ত প্ৰতিপন্ন একমেবাদ্বিতীয়াং ব্ৰহ্মের উপাসনা প্রচারে কৃতসংকল্প হন তাহাই এইক্ষণে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে পরিণত হইয়াছে। এ প্রদেশে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের বীজ নিক্ষিপ্ত হইয়াছে বটে। কিন্তু তাহা হইতে আশানুরূপ। ফলোৎপত্তি দৃষ্ট হয় না। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রভাব সাধারণ হিন্দুসমাজে আদ্যাপি প্ৰবেশ লাভ করে নাই। এদেশে হিন্দুধৰ্ম্মের দুর্গ আটে ঘাটে এমনি দৃঢ় বদ্ধ যে তাহ ভেদ করা কঠিন ব্যাপার। জাতিভেদের শৃঙ্খলও তেমনি কঠোর। সময়ে সময়ে ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কারের যে সকল চেষ্টা হইতেছে তাহাতে বিশেষ ফলোদয় উপলক্ষিত হয় না। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের বাধা দিবার ক্ষমতা প্রচুর, উন্নতির পথে পদক্ষেপ করিবার শক্তি নাই। এই সমাজে যাহা কিছু পরিবর্তন-যাহ কিছু উন্নতি প্ৰত্যক্ষ হইতেছে তাহ বাহিরের সংশ্রবে, সমাজের নৈসৰ্গিক নিজ বলে তাহা সাধিত হইতেছে না । ইংরাজি শিক্ষার ফলে-পাশ্চাত্য