পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু-কাহিনী । Տ 8Գ আহমদাবাদের আদিম-বাসী কণবীগণ কুলশীলে শ্রেষ্ঠরূপে প্ৰখ্যাত। কুলীনের সঙ্গে কিসে কন্যার বিবাহ হয়। ইহারই উপর পিতা মাতার বিশেষ লক্ষ্য। নীচ কুলের বরের সঙ্গে কন্যার বিবাহ হওয়া মহা অপমানের বিষয়, কুলীন যদি হতশ্ৰী বা বিগত-যৌবন হয় তথাপি সে প্রার্থনীয়। ৫০ বৎসর বয়স্ক কুলীনের সঙ্গে মাত ভঁাহার দশমবৰ্ষীয়া বালিকার বিবাহ দিতে কুণ্ঠিত হন না। উচ্চ কুলের বর পাইতে হইলে অনেক অর্থের প্রয়োজন ও বিবাহের অনুষ্ঠানেও বিস্তর ব্যয়। এই হেতু কুলাভিমানী নির্ধন কণবী এবং রাজপুতদের মধ্যে কন্যা-হত্যা এত প্ৰচলিত ছিল । কন্যা-সন্তানের প্রতি বিরাগের আর এক কারণ এই যে, পিতা মনে করেন। কন্যার বিবাহ হইলেই অপর ব্যক্তি আমাকে শালা শ্বশুর বলিয়া সম্বোধন করিবে, এ অপমান কিরূপে সহ্য হয় ? কন্যা ভূমিষ্ঠ হইবামাত্ৰ তাহাকে এক দুগ্ধপূর্ণ পাত্রে ফেলিয়া দিয়া পিতা মাত কন্যাদায় হইতে নিস্কৃতি পাইতেন ; এই প্রথার নাম “দুধ পীতী” । ইহা বলা বাহুল্য যে ইংরাজ-রাজ্যে এ নিয়ম এক্ষণে সতীদাহ ও অন্যান্য নিষ্ঠর প্রথার ন্যায় রাজ-শাসনে বিলুপ্ত হইয়াছে। বর। নীচ-বংশজ হইলে তাহাকে টাকা দিয়া কন্যা ক্রয় করিতে হয় । অর্থের অভাবে আপন পরিবারস্থ কোন কন্যার বিনিময়েও কন্যা পাওয়া যায়। মনে কর, রণছোড়ের এক ভগিনী ও দাজীর একটী কন্যা আছে। রণছোড় দাজীর ভ্রাতার সঙ্গে আপনার ভগিনীর বিবাহ দিয়া দাজীর কন্যাকে বিনিময়ে