পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S (0 বোম্বাই চিত্ৰ । লেন-এদিকে সে স্ত্রীর যে যথার্থ স্বামী তাহার বাটীতে হুলস্থল পড়িয়া গেল। তাহার স্ত্রী কোথায় পলায়ন করিল, এক গ্রাম ত গ্রামান্তর অন্বেষণ করিয়া প্ৰকৃত ব্যাপার অবগত হইলে তিনিও বিচারালয়ে উপস্থিত হইয়া কন্যাকৰ্ত্তার নামে অভিযোগ উপস্থিত করেন । সত্য নিরূপণ করিতে বিচার-পতির মাথা ঘুরিয়া যায়। স্বামী চান তঁাহার স্ত্রী, উপস্বামী, প্ৰতারক দল, সকলেরই সমুচিত শাস্তি হয়। স্ত্রী বলিতেছেন—আমার স্বামী আমাকে মা বোন বলিয়া সম্বোধন করত গৃহ হইতে বহিস্কৃত করিয়া দিয়াছেন—আমার দোষ কি ? উপস্বামী বলিতেছেনএই স্ত্রীর স্বামী বৰ্ত্তমান ইহা আমার স্বপ্নের ও অগোচর, জানিতে পারিলে কি এত টাকা দিয়া কন্যা ক্রয় করিতাম । প্ৰতারকদল বলিতেছে, আমরা ইহার কিছুই জানি না, আমাদের সঙ্গে শক্ৰতা করিয়া আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করিয়াছে বর কন্যা আমরা কাহাকেও জানি না—আমরা আমাদের গ্রামে বাস করিতেছিলাম, তথা হইতে পুলিষের লোকে আমাদিগকে ধরিয়া আনিয়াছে। প্ৰত্যেক পক্ষ আপন আপনি সাক্ষীর সহিত, দণ্ডায়মান। পাঠকগণ বিবেচনা করিয়া দেখুন, এই মিথ্যা। জালের মধ্য হইতে সত্য নির্ণয় করা কি সহজ ব্যাপার ? এই প্রসঙ্গে আমার এক বালিকা—হরণ মকদ্দমার কথা মনে পড়িল—তাহার আসামী ফরিয়াদী নাসিক জিলা নিবাসী মহারাষ্ট্ৰীয় কুণবী। বালিকার বয়স ১২ বৎসর ও তাহার মাসীর নামে নালিশ। বালিকার পিতা বলিতেছেন-আমি আমার