পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'Svo বোম্বাই চিত্ৰ । লইয়া যাওয়া-পথিকদিগের পথ প্ৰদৰ্শন করা ইত্যাদি তাহার কাৰ্য্য। ছুতার, লৌহকার, স্বর্ণকার, কুম্ভকার, পোদ্দার, ধোবা, নাপিত, দৈবজ্ঞ, গুরু ইত্যাদি লোকেরা প্ৰচলিত প্ৰথা অনুসারে গ্রামবাসীদের কাৰ্য্য করে । তাহদের মধ্যে কেহ কেহ চাকরা জমী উপভোগ করে, কেহ বা অন্য প্রকারে রায়তদের নিকট হইতে কিছু কিছু করিয়া পায়। এইত রেবেনিউ কাৰ্য্যপ্ৰণালী ও কৰ্ম্মচারীদিগের বিষয় বলা হইল-এইক্ষণে রায়তাওয়ারী বন্দবস্ত বিবৃত করিতে প্ৰবৃত্ত হওয়া যাইতেছে। এই বন্দাবস্তের মূলসূত্র এই যে রাজার প্ৰজার সাক্ষাৎ সম্বন্ধ-তাহদের মধ্যবৰ্ত্তী কোন ভুস্বামী নাই। গবৰ্ণমেণ্টই জমীদার ও গবৰ্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারীদিগের প্রতি খাজানা আদায়ের ভার অর্পিত। পূর্বে দেশীয় রাজার রাজত্ব কালে সামান্যতঃ এইরূপ বন্দবস্ত ছিল যে, জমিতে যে শস্য জন্মিত রাজা তাহার অমুক অংশ গ্ৰহণ করিতেন, এক্ষণে আর শস্যের ভাগ গৃহীত হয় না। তাহার পরিবর্তে নিৰ্দ্ধারিত খাজনা মুদ্রাকারে গ্ৰহণ করা হয়। এইরূপে সমুদয় রায়তাওয়ারী ভূমির জরীপ হইয়া তাহার জমাবন্দি নিরূপিত হইয়াছে। ১৮৩৬-৩৭ সালে এই অঞ্চলে জরীপ কাৰ্য্য আরম্ভ হয় ও তৎসংক্রান্ত নিয়মবলি ১৮৬৫ সালের বোম্বায়ের ১ আইনে বিধিবদ্ধ হয় । জরীপ বিভাগের কাৰ্য্য দুই জন কমিসনর, কতকগুলি সুপরিাণ্টেণ্ডেণ্ট ও তাহার অনেকানেক সহকারী ও কণিষ্ঠ কৰ্ম্মচারীগণ কর্তৃক নির্বাহিত হয়। জরিপ ও জমাবন্দি করিবার নিয়ম এই-- o