পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ዓ\9 cवांक्षाई द्धि । রায়ৎওয়ারী বন্দাবস্তের দোষগুণ নিরূপণ করিবার পূর্বে বিবেচনা করা উচিত যে গবৰ্ণমেণ্টের খাজনার প্রকৃত লক্ষণ । কি ? কি হিসাবে তাহ নিৰ্দ্ধারিত হইলে রায়তের সুখ সমৃদ্ধি সাধিত হইতে পারে। আমাদের বিবেচনায়-চাস ও আবাদের খরচ বাদ দিয়া যে মুনফা অবশিষ্ট থাকে গবৰ্ণমেণ্টের খাজনা তাহার অৰ্দ্ধাংশ কি আরো কিঞ্চিৎ অধিক হইলে ক্ষতি নাই। কৃষকের পরিশ্রমের বেতন ও হল বলদ প্রভৃতি কৃষিসাধন জিনিসের মূল্য অবশ্য আবাদের খরচের মধ্যে ধরিতে হইবে। তাহা বাদ দিয়া অবশিষ্ট মুনফার অংশ সরকারী খাজানাতে নিৰ্দ্ধারিত হওয়া উচিত—এ কথা রায়ৎওয়ারী বন্দাবস্তের প্রধান প্ৰতিপোষকগণও স্বীকার করিয়া থাকেন। এইক্ষণে প্রশ্ন এই যে, ফলে সরকারী খাজান এই রূপ দাড়াইয়াছে কি না ? তাহার উত্তর “ন’ বলিতে হইবে । ইহা নিশ্চয় যে কৃষিকাৰ্য্যের খরচ ও সরকারী দেন। বাদ দিয়া রায়তের অবশিষ্ট মুনাফা কিছুই থাকে না । অনেক স্থলে সরকারী খাজনা দিবার জন্যও রায়ৎকে মহাজনের শরণাপন্ন হইতে হয়। সে তাহার নিজের ও পরিবারের সম্বৎসরের মত গ্ৰাসাচ্ছাদন যোগাইবার জন্য iछ् কিছু কষ্টস্বষ্টে উপাৰ্জন করে তাহা “মুনাফা’ বলা যাইতে পারে না - তাহা তাহার পরিশ্রমের বেতন । কোন এক শুভবর্ষে যদি তাহার অল্প মুনফা উদ্ধৃত্তি হয় তা তাহা অন্য এক অনাবৃষ্টিজনিত অশুভ বৎসরে সকলি ব্যয় হইয়া যায়। কৃষক বৎসর বৎসর কায়ক্লেশে ভূমি কর্ষণ করিয়া প্রতি বৎসর আশা করিয়া