পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 ዓ፲ፖ cबांक्षांश् द्धि। নিয়মিত খাজানাটি রাজভাণ্ডারে আনিয়া দিতেই হইবে। নতুবা জমি নিলামে বিক্রয় হইয়া যায়। আগে কখন কখন কাৰ্য্য-বিশেষের জন্য রায়ৎকে ধারা দিবার প্রথা ছিল-কোন কারণে তাহাকে খাজান হইতে নিস্কৃতি দেওয়া যাইত, কিন্তু এক্ষণে সে নিয়ম বন্ধ হইয়াছে। খাজানা আদায়-নিয়মের কঠোরতা, এই দুর্ভিক্ষের বৎসরে বিলক্ষণ প্ৰকাশ পাইতেছে । ভারতীয় গবৰ্ণমেণ্ট উল্লাসিত হইয়াছেন, সেক্রেটরি অফ ষ্টেটু মহা সন্তোষ প্রকাশ করিতেছেন যে, দুর্ভিক্ষপ্ৰপীড়িত রায়তের নিকট হইতে এবার প্রায় তাহার দেয় সমুদয় খাজানা আদায় করা যাইবে। করাগ্রাহীর পক্ষে ইহা অতিশয় সন্তোষজনক সন্দেহ নাই। কিন্তু করদাতার পক্ষে কতদূর তাহা সন্দেহ। সচরাচর সরকারী খাজান দিতে যাহাদের গলদঘৰ্ম্ম হয়, দুর্ভিক্ষের বৎসর অস্থিচৰ্ম্মসার, সেই সকল রায়তের নিকট হইতে দুই বৎসরের খাজানা এক কালে আদায় করা সামান্য নিষ্ঠুরতার কার্য্য নহে। এই দ্বিগুণ কর দিবার সামর্থ্য-সাধনোপযোগী এ বৎসর যে দ্বিগুণ ফসল হইয়াছে, কৈ তাহা ত শুনা যায় না । এই ঐন্দ্ৰজালিক ব্যাপার কিরূপে সংসাধিত হইল বলা যায় না । এই প্রেসিডেন্সিতে - সমুদয় সরকারী খাজানার সমষ্টি ২॥০ কোটি টাকারও অধিকতাহার মধ্যে ২ কোটি ৩৩ হাজারেরও অধিক আগষ্ট মাসের শেষে আদায় করা হইয়াছে। যে ক-হাজার টাকা ছুটি দেওয়া গিয়াছে, তাহাও সম্পূর্ণ আদায় হইবার প্রত্যাশা। ১৮৭৭-৭৮