পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বোম্বাই রায়ত । ᏱbᎩᏩ সমেত প্ৰত্যপণ করিতে হইবে। এইরূপে বীজ বপনের জন্য— জীবিকা নির্বাহের জন্য প্ৰতিবৎসর তাহদের বণিকের দোকানে ধার করিতে হয়। পর বৎসর ফসল কাটিবার সময় উপস্থিত কিন্তু এইরূপে গবর্ণমেণ্টের খাজনা দিয়া যাহা কিছু উদ্ধৃত্তি হয় তাহা গত বৎসরের দেনার সুদ পরিশোধ করিতে গিয়া সকলি নিঃশেষিত হইয়া যায়। এই সুদ ক্ৰমে মূলধনের উপর সঞ্চিত হইয়া কৰ্জ ক্রমিক বাড়িয়া যায়, ও যখন খত তামাদি হইবার উপক্রম হয় তখন মহাজন অবসর বুবিয়া সুদের হিসাব করিয়া বদ্ধিত আকারে এক নূতন তমসুক প্ৰস্তুত করিয়া লয়। এবার কিন্তু সহজ তমলুকে সাহুকার সন্তুষ্ট নয়, তাহার সঙ্গে বন্ধক চাই-রায়তের ক্ষেত্র ও বসত বাটী বন্ধক লিখিয়া এক নূতন তমসুক লিখিত ও স্বাক্ষরিত হয় । এই প্রকারে গরীব বেচারী আটে ঘাটে এরূপ বদ্ধ হইয়া পড়ে যে তাহার পলাইবার পথ থাকে না। অবশেষে যখন দেন। পরিশোধ করিবার আর তাহার কিছুমাত্র সঙ্গতি থাকে না, তখন মহাজন তাহার তমলুক লইয়া রায়তের বিরূদ্ধে আদালতে মকদম উপস্থিত করে। এই সকল মকদ্দমার অধিকাংশ রায়তের অবর্তমানেই নিম্পত্তি হয় । খাতের লেখক ও এক স্বাক্ষরকারীর সাক্ষ্য লইয়া জজ স্বকীয় কোর্ট হইতে ডিক্ৰী বাহির করেন। সেই ডিক্ৰী জারী হইয়া রায়তের ঘর জমি সকলি অল্প মূল্যে নিলামে বিক্রয় হইয়া যায়। অনেক সময় মহাজন নিজেই হয়ত তাহার সমুদয় সম্পত্তি ক্রয় করিয়া "লন। মহাজন রায়তের জমী লইয়া কি করিবেন, তিনি কিছু R9