পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R o 8 6त्राश्वाछे চিত্ৰ গ্ৰহণ করে, অথবা তাহাকে আপনার দাসত্বে নিযুক্ত করে। তৎপরে ইচ্ছা হইলে আবার সম্পূর্ণ ডিক্ৰীজারী করিয়া লয়। এইরূপ প্ৰবঞ্চনায় আইন তাহার সহায়, কেন না। আইনানুসারে ডিক্রীর টাকা কোর্টে আনিয়া অথবা কোর্টকে জানাইয়া ডিক্ৰীদারকে দিতে হইবে। কিন্তু রাইয়াত ত এ নিয়মের কিছুই জানে না । সে একবার আপনার যথাসর্বস্ব বেচিয়া কিনিয়া ডিক্রীর টাকা শুধিয়াছে—তাহার উপর আবার ডিক্ৰীজারীর সংবাদ পাইয়া কোর্টে গিয়া কঁাদিয়া পড়ে “দোহাই ধৰ্ম্মাবতার, আমি ডিক্রীর সব টাকা শুধিয়াছি-বাদীর আর এক পয়সাও পাওনা নাই।” বিচারক কি করিবেন—ৰ্তাহার হাত পা বদ্ধ — হয়ত বলিতে বাধ্য হন “তুই আপসে বাদীকে টাকা দিয়াছিস্— কোটে হাজির করা হয় নাই—এখন আর আমি এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিতে পারি না”—এই বলিয়া তাহাকে দূর করিয়া দেন। দৈবাৎ কখন এই অত্যাচার মাজিষ্ট্রেটের কৰ্ণগোচর হইলে ফৌজদারীতে ইহার বিচার হইতে দেখা যায় ও তখন মহাজন তাহার দুস্কৃতির উপযুক্ত দণ্ড প্রাপ্ত হয়। উল্লিখিত বিবরণ পাঠে সহজে প্ৰতীতি হইবে, দরিদ্র প্রতিবাদীর ন্যায়-লাভ কিরূপ দুৰ্ঘট । প্রথম হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত তাহার যন্ত্রণাভোগ। প্রথমতঃ মকদ্দমার ব্যয়-বাহুল্য হেতু তাহার পক্ষে আদালতের দ্বার ত একপ্রকার রুদ্ধ বলিলে হয় । যদি কখন প্ৰবেশ করিতে পায় তা আত্মপক্ষ সমর্থনা করিয়া জয়লাভ করা ও তাহার পক্ষে সহজ নহে । আর তাহার বিরুদ্ধে একবার