পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cवांक्षांशें ब्रांशऊ । RRKO মিৱাসদার বলিয়া গণ্য ছিল ও মিরাসী স্বত্বের নিয়মই এই যে রাইয়াত সে স্বত্ব হইতে কখনই বঞ্চিত হইবার নয়—ছাড়িয়া দিলে যখনি ইচ্ছা তাহ পুনঃ প্ৰাপ্ত হইতে পারিত। ১৮২৭ সালের আইনে মহাজনের ঋণ আদায় সম্বন্ধে নিজস্ব ক্ষমতা প্ৰত্যাহৃত হইয়া তৎপরিবর্তে আদালত সকল স্থাপিত হয়। তথাপি তখনকার আইন ঋণীর পক্ষে অনেক সুবিধাজনক ছিলসুদের দরের সীমা নিরূপিত ছিল, মহাজনেরা তদন্তিরিক্ত সুদ গ্ৰহণ করিতে পারিত না ; অপিচ কৃষকের স্বীয় জীবিকা ও কৃষিকাৰ্য্য নির্বাহের জন্য যে সকল বস্তুর প্রয়োজন, তাহার ক্রোক ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিল । কাল সহকারে এই সকল নিয়ম পরিবৰ্ত্ত হইল। বর্তমান আইন সম্বন্ধে কমিসনরগণ নিম্নলিখিত অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিয়াছেন ;- ঋণ আদায় করিতে হইলে হয়। ঋণীর উপাজিত ও অর্জনীয় বিষয় বিক্রয়, নয় তাহার ও তাহার পরিবারের কায়িক পরিশ্রম গ্ৰহণ করা—এই দুই উপায় অবলম্বিত হইতে পারে। যে আইনে অবাধে এই সকল উপায় নিয়োজিত হয়, তাহ পারত পক্ষে মহাজনেরই বিশেষ অনুকুল। এদেশের আইন এবিষয়ে মহাজনের যেমন পক্ষপাতী আর কোন আধুনিক আইন তেমন আছে কি না সন্দেহ। এই আইন মতে ঋণী সপরিবারে মহাজনের নিকট ধন প্ৰাণে যেরূপ আবদ্ধ, তাহার ইয়ত্ত করা যায় না । যদিও আইনে দাসত্বের কোন স্পষ্ট উল্লেখ নাই, তথাপি যখন অশক্ত ঋণীকে বন্দীখানায় প্রেরণ করা মহাজনের ইচ্ছা